শহর থেকে উদ্ধার হল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক। সেই অস্ত্র বিক্রি করার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই কারবারি। ধৃতদের নাম রশিদ মণ্ডল ও রবিউল গায়েন। দু’জনেই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রথমে গ্রেফতার করেন অস্ত্র কারবারি রশিদ মণ্ডলকে। তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ওই পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং পাঁচ কেজি বোমা তৈরির দাহ্য রাসয়ানিক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নের ওই অস্ত্রকারবারি কলকাতায় বিক্রির জন্য ওই অস্ত্র নিয়ে এসেছিল বলে দাবি পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা রবিউলের সন্ধান পান। হাড়োয়ার বাসিন্দা রবিউলকে ওই রাতেই গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দু’টি নাইন এমএম পিস্তল এবং সাত রাউন্ড কার্তুজ। ধৃতদের শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন।
চলতি বছরেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা বাবুঘাট থেকে গ্রেফতার করেছিল অস্ত্র কারবারে যুক্ত বেশ কয়েক জনকে। খোঁজ পেয়েছিলেন শহরের উপকণ্ঠে একাধিক অস্ত্র কারখানাও। ইছাপুর রাইফেল কারখানা থেকে অস্ত্রের যন্ত্রাংশ পাচারের দু’টি চক্রের সন্ধানও পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা দীর্ঘদিন ধরেই ওই কারবারের সঙ্গে যুক্ত। বিহারের মুঙ্গের থেকে ওই অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায় বিক্রির জন্য। ধৃতেরা বোমা তৈরির কাজও জানে। ধৃতদের জেরা করে কয়েক জন ক্রেতার নামও জেনেছে পুলিশ। তারা মূলত শহর সংলগ্ন বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে দাবি তদন্তকারীদের। এক অফিসার জানান, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই কলকাতার বাইরের। কেন তারা কলকাতায় ওই অস্ত্র এবং বোমা তৈরির দাহ্য রাসয়ানিক নিয়ে এসেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।