খিদিরপুর থেকে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে বেহালার দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। রাতে টহলরত পুলিশ ট্রাকটিকে থামতে বললে আচমকাই গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন চালক। এর পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রামলাইনের পাশে একটি বাতিস্তম্ভে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। ধাক্কার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় ট্রাকের সামনের অংশ। স্টিয়ারিংয়ে আটকে যান চালক। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতের নাম বাসুদেব ব্যাপারি। বাড়ি গড়িয়া এলাকায়। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন ট্রাকের খালাসিও। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খিদিরপুরে অরফ্যানগঞ্জ বাজারের কাছে। ওই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘রাতে টহলরত পুলিশ গাড়ি তল্লাশির নাম করে টাকা আদায় করে। পুলিশের এই জুলুমবাজি বন্ধ না হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা থামবে না।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অরফ্যানগঞ্জ বাজার এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘পুলিশের এই জুলুমবাজি নিত্য দিনের ঘটনা। সোমবার রাতেও পুলিশ ট্রাকটিকে জোর করে দাঁড় করিয়ে টাকা আদায় করতে গিয়েছিল। চালক পালাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাম লাইনের পোস্টে ধাক্কা মারে।’’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
এ বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে খিদিরপুরে পথ-দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরেও পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। অভিযোগ, গভীর রাতে হেস্টিংস থেকে কার্ল মার্কস সরণির দিকে যাওয়ার সময়ে খিদিরপুর উড়ালপুল থেকে নামার মুখে কর্ত্যবরত পুলিশ একটি গাড়িকে থামতে বললে গতি বাড়িয়ে দেন চালক। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক-চালকের। ওই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছিল। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল গাড়িটি।
সোমবার রাতের ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর) সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘এমন কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।’’