প্রতীকী ছবি।
পরিকল্পনার সামান্য ‘ভুলে’ গ্রিন করিডরের মাধ্যমে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ হোঁচট খেল। এত দিন অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্যে গ্রিন করিডর করা হয়েছে রাজ্যে। এই প্রথম এক রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র পরিকল্পনার ভুলেই সেই চেষ্টা ধাক্কা খেল, এমনটাই অভিযোগ উঠল।
বন্ধুদের সঙ্গে মানস সরোবরে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক হয় ট্যাঙরার বাসিন্দা সমরজিৎ দাসের। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে এসে লখনউয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার পর কলকাতায় আনার জন্যে পরিবারের তরফে রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়। সমরজিতের শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে জন্য দমদম বিমানবন্দর থেকে মল্লিকবাজারের ‘ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস কলকাতা’ পর্যন্ত গ্রিন করিডর করার উদ্যোগ নেয় কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন সমরজিৎ। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই হাসপাতালে। কিন্তু লেকটাউন ছাড়িয়ে উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারের কাছে এসে থমকে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। পুলিশের পরিকল্পনা ছিল, ফ্লাইওভারের উপর দিয়েই অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ‘হাইট বার’-এ আটকে যাওয়ার কথা বলেন চালক। এর পরে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে যানজটে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি।
আরও পডু়ন: লোকসভায় ‘কাটমানি’ বিতর্ক তুলে মমতাকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
আরও পুড়ুন: ‘মানিব্যাক’! বীরভূমে সওয়া দু’লাখেরও বেশি ‘কাটমানি’ ফেরত দিলেন তৃণমূল নেতা
বেশ কিছু ক্ষণ যানজটে আটকে থাকার পর অবশেষে মাল্লিকবাজারের হাসাপাতালে পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। পরিকল্পনায় কারও গাফিলতি ছিল কি না, সে বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এর আগে প্রতিস্থাপনের জন্য ‘অঙ্গ’ দমদম বিমানবন্দর থেকে বাইপাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৬ মিনিটের বেশি সময় লাগেনি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাতে গ্রিন করিডর করা হয়েছিল। এ বার পুলিশের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল, সকালের ব্যস্ত সময়ের মধ্যে কত দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছনো যায়। কিন্তু প্রায় আধ ঘণ্টা যানজটে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি।