ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে পেটের সমস্যা নিয়ে চারটি হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি হতে পারেননি। এমনই অভিযোগ করেছিলেন মালদহের এক রোগিণী। শেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে তাঁর পড়ে থাকা নিয়ে শোরগোল শুরু হতে তাঁকে ভর্তি নেয় ওই হাসপাতাল। আপাতত অনেকটাই সুস্থ ওই মহিলা। আজ, শুক্রবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে পেটের সমস্যা সারলেও তাঁর লিভারের ক্যানসার হয়েছে বলে অনুমান করছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য তাঁকে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
করোনা অতিমারির আবহে অন্য রোগে আক্রান্তেরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। শ্যামা দেবী নামে ওই রোগীও অভিযোগ করেন, তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথম দফার লকডাউন শুরুর আগে পাঠানো হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখানে কয়েক দিন ভর্তি রেখে হঠাৎ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ‘আনলক’ পর্বে ফের তাঁরা ওই হাসপাতালে গেলে ২০ দিন বাদে আসতে বলা হয়।
তত দিনে শ্যামাদেবীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর দিদি তাঁকে নিয়ে যান কলকাতা মেডিক্যালে। অভিযোগ, সেখান থেকে বলে দেওয়া হয়, করোনা রোগী ছাড়া ভর্তি করা হবে না। এর পরে এন আর এসেও চিকিৎসা মেলেনি বলে দাবি করেন শ্যামাদেবী।
শেষে শোরগোল শুরু হতে ওই মহিলাকে ভর্তি নেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। শ্যামাদেবীর দিদি এ দিন বলেন, ‘‘আরও আগে চিকিৎসা শুরু হলে হয়তো বোনের ক্যানসার ধরা পড়ত না। তবে চিকিৎসকেরা যে শেষ পর্যন্ত ওকে ভর্তি নিয়েছেন, সে জন্য ধন্যবাদ। না-হলে বোন হয়তো বাঁচত না।’’