গল্ফ গ্রিনে বাসের উপর ভেঙে পড়েছে গাছ। নিজস্ব চিত্র।
রাতভর ঝড়-বৃষ্টির জেরে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে শহর। কোথাও গাছ উপড়ে রাস্তা আটকে গিয়েছে। কোথাও বিদ্যুতের পোস্ট, হোর্ডিং, ফেস্টুন পড়ে রয়েছে রাস্তার মাঝে। যার জেরে যান চলাচল থমকে গিয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। সপ্তাহের প্রথম দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাইপাস থেকে গড়িয়া সর্বত্রই একই চিত্র। সল্টলেক, এয়ারপোর্ট এলাকাতেও ঝড়ের দাপটে গাছ উপড়ে রাস্তা আটকে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুরসভার কর্মীরা রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছেন।
গুরুসদয় দত্ত রোডে, বালিগঞ্জ, সাদার্ন অ্যাভেনিউ, কসবা, লেক অ্যাভেনিউয়ের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় গাছ এবং বাঁশের কাঠামো পড়ে থাকায় গাড়ির গতি অনেকটা কম। প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডে নবীনা সিনেমার ঠিক উল্টো দিকে একটি বহুতলের পাঁচিল ভেঙে পড়ে। যদিও এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
প্রকৃতি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
আরও পড়ুন, ফাল্গুনে জোড়া কালবৈশাখী, এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমল পাঁচ ডিগ্রি
উত্তর কলকাতার বাগবাজার, বরাহনগর, বেলঘড়িয়া, দমদম এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতি শ্লথ রয়েছে। সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ে বিপর্যস্ত যান চলাচল। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের বসেছিল হস্তশিল্প মেলা। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে গিয়েছে বেশ কিছু দোকান। বৃষ্টির জেরে নিকো পার্কের কাছে বিশ্ব বাংলা সরণিতে গাড়ি গতি অনেকটাই কম। চিংড়িঘাটা, ইএম বাইপাসে ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনা, কলকাতার আবহাওয়া, কলকাতার হালচাল জানতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)