ফাইল চিত্র।
আরও এক বার পুলিশের মানবিক আচরণের সাক্ষী রইল শহর।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টে। মৌলালি মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে একটি বেসরকারি বাস। দ্রুত রাস্তায় নেমে আসেন কন্ডাক্টর। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট শুভেন্দু সরকারকে তিনি জানান, বাসের এক মহিলা যাত্রীর মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। শুভেন্দুবাবু কালবিলম্ব না করে মোটরবাইকে চেপে বাসটিকে এসকর্ট করে সোজা নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই মহিলা যাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যান। এর পরে ওই মহিলা কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁর ছেলেকে ফোন করে বিষয়টি জানান ওই পুলিশ অফিসার।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রিমা সেন রায় নামে ওই মহিলার উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে আচমকাই বাসের ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে আসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। দেরি হলে সমস্যা গুরুতর হয়ে উঠতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চন্দ্রিমা বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি কাজ করেন কলকাতা পুরসভায়। যাদবপুরের বরো অফিসে বসেন তিনি। এ দিন দুপুরে ২৪০ নম্বর বাসে বাড়ি ফিরছিলেন।
শুভেন্দুবাবু ফোনে খবর দেওয়ায় হাসপাতালে পৌঁছে যান চন্দ্রিমার ছেলে অঙ্কিত সেন। তাঁর কথায়, ‘‘মা কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মাকে হৃদ্রোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন। আমি ওই ট্র্যাফিক সার্জেন্টের কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব।’’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আমি বাসে উঠে দেখি, ওই মহিলার মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে হাসপাতালে নিতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যেত। সেই কারণে বাসের অন্য যাত্রীদের অনুমতি নিয়ে সোজা বাসটিকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। অন্য যাত্রীরাও সহযোগিতা করেছেন।’’ এ দিন সন্ধ্যায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন চন্দ্রিমা।