প্রতীকী ছবি।
দুই সংগঠন মিলিয়ে ছোট-বড় একাধিক মিছিল। সঙ্গে আসন্ন উৎসব উপলক্ষে কেনাকাটা। তার উপরে বৃষ্টি। সব মিলে বুধবার দিনভর দফায় দফায় থমকে গেল কলকাতায় দক্ষিণ-মধ্য এবং উত্তরের বিভিন্ন রাস্তার যান চলাচল। ফলে এ সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনের মতো তৃতীয় দিনেও যানজটে ভুগতে হল সাধারণ মানুষকে।
লালবাজার জানায়, দিনটা শুরু হয়েছিল আদিবাসীদের একটি সংগঠনের মিছিল দিয়ে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে তাদের বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়। এ দিন সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে প্রথম মিছিলটি শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্রেবোর্ন রোড-গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পৌঁছন। কিছু পরে একই পথে যায় আরও একটি মিছিল। তারই মধ্যে আদিবাসীদের আরও একটি মিছিল শিয়ালদহ থেকে মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলায় পৌঁছয়। অফিসের সময়ে এর জেরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ব্রেবোর্ন রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, জওহরলাল নেহেরু রোডে তীব্র যানজট হয়। বন্ধ হয়ে যায় ডোরিনা ক্রসিং ও পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের যান চলাচল। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দু’টি রাস্তা বন্ধ থাকায় মেয়ো রোড, রেড রোড-সহ সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু রাস্তাতেও যানজট হয়। যদিও কলকাতা পুলিশের দাবি, ট্র্যাফিক কর্তাদের তৎরপরতায় দুপুরের মধ্যে ধর্মতলা চত্বরের অবস্থা সামাল দেওয়া গিয়েছিল। এক পশলা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি ফের জটিল হয়।
পুলিশের দাবি, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয় সিপিএমের লালবাজার অভিযান। সেটি কেন্দ্র করে বিকেলেই বন্ধ করে দেওয়া হয় গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের যান চলাচল। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ মোড়ের আগেই তিনটি ব্যরিকেড করা হয় ওই অভিযান আটকানোর জন্য। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ হয়ে কয়েক হাজার সমর্থকের মিছিল পৌঁছয় সেখানে। অবরুদ্ধ হয় নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ।
পুলিশ সূত্রের খবর, অফিস ছুটির এমন হওয়ায় ভোগান্তি বাড়ে। দক্ষিণগামী গাড়িগুলি নানা দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে মধ্য ও উত্তর কলকাতার সব রাস্তাতেই কমে গাড়ির গতি। অনেকে হেঁটেই শিয়ালদহ বা মেট্রো স্টেশনে পৌঁছন।
লালবাজার জানিয়েছে, মিছিলের ভোগান্তির মধ্যে মহাত্মা গাঁধী রোড, বড়বাজার অঞ্চলেও ভিড় হয়েছিল কেনাকাটার জন্য। তার জেরে এক সময়ে মহাত্মা গাঁধী রোড ও কলাকার স্ট্রিট-সহ বড়বাজার ও পোস্তায় যান চলাচল শ্লথ হয়ে পড়ে। মূলত চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের ধর্মতলার দিকে গাড়ির গতি কম থাকায় যানজট আরও তীব্র হয়ে ভোগান্তি বাড়ে।