নিবেদিতা সেতুর টোল প্লাজ়ায় থমকে গাড়ি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক জন কর্মী। টোল বুথে তাই বসেছেন কয়েক জন আধিকারিক। তাতে কাজে কিছুটা হলেও দেরি হচ্ছে। অন্য দিকে, দুপুরে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য মালবাহী লরি ও গাড়িগুলি কলকাতায় ঢোকার ছাড়পত্র পেয়েছে। সেই সময়ে তাই টোল প্লাজ়া পেরোতে লম্বা লাইন পড়ছে গাড়ির।
সব মিলিয়ে বুধবার, পঞ্চমীর সকাল থেকেই তীব্র যানজট হল নিবেদিতা সেতু সংলগ্ন দু’নম্বর জাতীয় সড়কে। নিবেদিতা টোল প্লাজ়া থেকে ডানকুনির দিকে প্রায় দু’কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন পড়ে যায় এ দিন। বেলা ১২টার পরে ডানকুনির দিক থেকে বালিতে আসতে হয়রান হন চালকেরা। টোল প্লাজ়া সূত্রের খবর, মোট ১৪টি লেনের ১২টি খোলা রয়েছে এখন। ১২ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কাজ চালাতে হচ্ছে আধিকারিকদেরও। অভ্যাস না থাকায় টোল সংগ্রহে তাঁদের কিছুটা দেরি হচ্ছে।
ডানকুনির দিক থেকে আসার সময়ে মাইতিপাড়া ব্রিজ পার করে জ়িরো পয়েন্টের কাছে নিবেদিতা সেতু এবং টোল ফ্রি রাস্তা ভাগ হয়েছে। এ দিন যানজট জ়িরো পয়েন্ট পেরিয়ে যাওয়ার জেরে টোল ফ্রি রাস্তায় যাওয়ার গাড়িও আটকে পড়ে। এর মধ্যেই দুই নম্বর জাতীয় সড়কের কিছুটা অংশে মেরামতির কাজ চলছে। অন্য দিকে, পুজোর সময়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কলকাতার দিকে মালবাহী গাড়ি যাওয়ার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: পুজোয় মেয়েদের জন্য ক্যাব, চালাবেন মেয়েরাই
ফলে সকাল থেকে অসংখ্য গাড়ি জমে থাকছে বালি, ডানকুনি এলাকায়। বেলা ১২টার পরে সব গাড়ি একসঙ্গে কলকাতায় ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়েই বিপত্তি বাধছে বলে চালকদের দাবি। বিকেল ৩টে থেকে ফের নো এন্ট্রি চালু হয়ে যায়। সেই সময় পার হয়ে গেলে সেতুর রাস্তায় লরি দাঁড় করিয়ে রাখছেন অনেকেই। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে বলেও দাবি চালকদের।
আরও পড়ুন: মণ্ডপের সামনে ভিড় ঠেকাতে সক্রিয় লালবাজার
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ট্র্যাফিক কর্মীরা সব সময়েই কাজ করছেন। তবে কী ভাবে পরিষেবা আরও সুষ্ঠু করা যায়, সে বিষয়ে টোল প্লাজার সঙ্গে কথা বলা হবে।’’ টোল প্লাজার এক কর্তার কথায়, ‘‘কম কর্মী নিয়েও পরিষেবা সচল রাখার চেষ্টা চলছে।’’