ট্র্যাফিক নিয়ে অভিযোগ, পরামর্শ এ বার টুইটারে

শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচল সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পড়লে বা অন্য কোনও অভিযোগ থাকলেও তা সরাসরি টুইটারে জানানো যাবে ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিকে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি

শহরতলির লোকাল ট্রেনের কামরা ভর্তি গোপনে মদ ছাড়ানো হোক বা টাকে রাতারাতি চুল, বশীকরণ থেকে বলবর্ধক দাওয়াইয়ের বিজ্ঞাপন। প্রতিদিনের যাতায়তের পথে ওই ‘দৃশ্যদূষণ’ দেখে ডিআরএম শিয়ালদহের টুইটারে অভিযোগ জানালেন এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। যার পরেই ডিআরএমের নির্দেশে রাতারাতি সক্রিয় হয় রেলপুলিশ বা আরপিএফ। রেলওয়ে আইনে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করে তদন্ত শুরু করে আরপিএফ। বেশ কিছু কামরা থেকে মুছে দেওয়া হয় ওই বিজ্ঞাপন।

Advertisement

রেলের নানা বিষয় নিয়ে টুইটারে অভিযোগ জানানো নতুন নয়। এ বার সাধারণ নাগরিকের হাতে সরাসরি যোগাযোগের সেই অস্ত্র তুলে দিচ্ছে ট্র্যাফিক পুলিশও। শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচল সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পড়লে বা অন্য কোনও অভিযোগ থাকলেও তা সরাসরি টুইটারে জানানো যাবে ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিকে। দেওয়া যাবে ট্র্যাফিক সংক্রান্ত পরমার্শও। এর জন্য লালবাজারের নির্দেশে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। যা দেখভাল করবেন সংশ্লিষ্ট গার্ডের ওসি বা আধিকারিক। পুলিশ জানাচ্ছে, এ বার থেকে যে কোনও ধরনের অভিযোগ বা পরমার্শ জানানো যাবে টুইটারের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে গার্ডগুলির তরফে ট্র্যাফিক সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা, পরমার্শ দেওয়া হবে সাধারণ নাগরিকদেরও। তবে লালবাজারের কর্তাদের দাবি, মূলত ট্র্যাফিক গার্ডগুলির সঙ্গে সাধারণ মানুষের জনসংযোগ বৃদ্ধির জন্যই স্থানীয় স্তরে ওই টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে।

বর্তমানে কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যা কেন্দ্রীয় ভাবে লালবাজার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সোশ্যাল মি়ডিয়ার মাধ্যমে লালবাজার নিজেদের কাজের প্রচারের পাশাপাশি সচেতনতামূলক পোস্ট করে থাকে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজে শহরের যান চলাচালের আপডেট থাকে। সঙ্গে দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন প্রচারমূলক পোস্ট করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন ট্র্যাফিক সংক্রান্ত অভিযোগ করা যায় ওই ফেসবুক পেজে। যেখান থেকে অভিযোগ এসেছে, সেখানকার গার্ডে ওই অভিযোগ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

Advertisement

পুলিশের দাবি, বর্তমানে অধিকাংশের হাতে স্মার্ট ফোন রয়েছে। স্থানীয় স্তরে ওই টুইটার অ্যাকাউন্ট করা হলে খুব সহজেই চালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে পুলিশও। পাশাপাশি, ট্র্যাফিক ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক পুলিশের অন্দরেও ভাল ভাবে তুলে ধরা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement