মঙ্গলবারের গ্রহণের বিশেষত্ব হল লাল চাঁদ। —ফাইল ছবি
চলতি বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ মঙ্গলবার। পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে। এর পর আগামী ৩ বছর চাঁদের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ আর দেখা যাবে না। তাই মঙ্গলবারের গ্রহণ দেখতে মুখিয়ে আছেন আগ্রহীরা।
ভারতের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে। তবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে দুপুর ৩টে ৪৬ মিনিট থেকে। পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শেষ হওয়ার পরও বেশ কিছু ক্ষণ ধরে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে। জানা গিয়েছে, পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় তৈরি হবে বিকেল ৪টে ২৯ মিনিটে। পূর্ণ গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিট পর্যন্ত। এর পর সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত গ্রহণ দেখা যাবে।
ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক জানিয়েছে, কলকাতা, গুয়াহাটির মতো দেশের পূর্ব প্রান্তের শহরগুলিতে মঙ্গলবার যখন চাঁদ উঠবে, তখন পূর্ণগ্রাস গ্রহণ চলবে। কিন্তু দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে চাঁদ উঠতে উঠতে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শেষ হয়ে যাবে। ফলে ওই সমস্ত এলাকা থেকে চাঁদের আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে এমপি বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কলকাতায় মঙ্গলবার চন্দ্রোদয় হবে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে। অর্থাৎ, ১৮ থেকে ১৯ মিনিট কলকাতার আকাশে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে। কলকাতা ছাড়া চাঁদের পূর্ণগ্রহণ দেখা যাবে গুয়াহাটি, আগরতলা, কোহিমা থেকে।
ভারতের বাইরে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
মঙ্গলবারের গ্রহণের বিশেষত্ব হল লাল চাঁদ। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর ছায়া বা ‘আমব্রা’ চাঁদের এই লাল রং তৈরি করে। ঠিক যে কারণে সকালে নীল রঙের আকাশ দেখা যায়, সূর্যাস্তের সময় যে কারণে আকাশের একাংশ লালচে দেখায়, সেই কারণেই চাঁদের রংও কখনও কখনও হয় লাল। নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর আবহাওয়া মণ্ডলে থাকা ধূলিকণায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় বলেই চাঁদের ওই রং চোখে পড়ে পৃথিবীবাসীর।
মঙ্গলবারের পর আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ৩ বছর পর। চাঁদের পরবর্তী পূর্ণগ্রহণ ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ।