এমনই দশা টালিগঞ্জ রেলস্টেশনের।— শশাঙ্ক মণ্ডল
প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকেছে। ভিড় ঠেলে নামছেন এক বৃদ্ধা। কোনওক্রমে নেমে দু’পা হাঁটতেই হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে ধরে ফেলেন এক যুবক। ভিড়ের চাপে নয়, প্ল্যাটফর্মের গর্তে পা আটকে এই দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল টালিগঞ্জ রেলস্টেশনে।
টালিগঞ্জ রেলস্টেশনে একটিই প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। আপ এবং ডাউন ট্রেন ওই একটি লাইন দিয়েই যাতায়াত করে। কিন্তু প্ল্যাটফর্মটি খন্দে ভরা। রেল সূত্রের খবর, গত বছরেই ওই প্ল্যাটফর্মের সংস্কার হয়েছিল। তার পরে ছাউনির তৈরির কাজ শুরু হয়। নতুন করে আলোও লাগানো হয়। প্ল্যাটফর্মে আলোর স্তম্ভগুলি বসানোর সময়ে প্ল্যাটফর্মের নীচের মাটি আলগা হয়ে যায়। ফলে বেশ কয়েকটি জায়গায় পেভার ব্লক সরে গিয়ে এই খন্দগুলি তৈরি হয়েছে। সামান্য অসাবধান হলেই হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
নিত্যযাত্রীরা জানান, টালিগঞ্জে রেলস্টেশনের নীচেই রয়েছে রবীন্দ্রসরোবর মেট্রোস্টেশন। বহু অফিস যাত্রীই এই স্টেশনটি ব্যবহার করেন। প্ল্যাটফর্মের এই অবস্থার কারণে হাঁটাই দায় বলেঅভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।
শুধু তাই নয়, গোটা প্ল্যাটফর্ম জুড়েই রয়েছে দোকান। ফলে সেখানে হাঁটার জায়গা আরও কমে গিয়েছে। প্ল্যাটফর্মের এক ধার ঘেঁষে চলতে হয় নিত্যযাত্রীদের। সেখানে আবার খন্দের উপরে স্টোনচিপস ফেলে ভরাট করা হয়েছে। কোনও কারণে পা ফসকে গেলে যাত্রীদের লাইনে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, রেলের কোনও হোলদোল নেই। প্রতি দিন ঝুঁকি নিয়েই প্ল্যাটফর্মে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয় এক দোকানদার জানান, মাঝে এক বার রেলের কর্মীরা এসে ব্লকগুলি ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ক’দিন বাদেই যে-কে-সেই।
সোনারপুরের বাসিন্দা অক্ষয় দত্ত বলেন, ‘‘বর্ষা এসে গিয়েছে। বৃষ্টিতে খন্দগুলি জলে ভরে গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’ দ্রুত প্ল্যাটফর্মটির খন্দ সারানোর দাবি জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা।পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ডিআরএম-কে জানাচ্ছি দ্রুত সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নিতে।’’