কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে।
চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দিতে পারায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে টোলের ইজারা নেওয়া সংস্থাকে বসিয়ে দিল পূর্ত বিভাগের হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। ফলে পুরো বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই এক্সপ্রেসওয়ের তিনটি টোল বুথ।
দীর্ঘদিন ধরেই এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নিয়ে চাপান-উতোর ছিলই। শাসক দলের কয়েক জন নেতার অনুগামীরাই মুড়াগাছা, ব্যারাকপুর ওয়্যারলেস মোড় ও কাঁচরাপাড়ার কাঁপা মোড়ের কাছে টোল প্লাজাগুলি বকলমে চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রতি বার কাঁচরাপাড়ার এক ব্যবসায়ীই টোল প্লাজাগুলির টেন্ডার পেয়ে আসছিলেন। তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। টোল প্লাজার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসের তরফে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল।
কেএমডিএ-এর থেকে পূর্ত বিভাগের হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে হস্তান্তর হওয়ার পরে বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল তিনটি টোল বুথ। কিন্তু নতুন করে টেন্ডার হলেও ফের পুরনো সংস্থাই টেন্ডারটি পায়। পূর্ত বিভাগ সূত্রের খবর, প্রথম কিস্তিতেই কম টাকা দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে সংস্থা। পরের কিস্তিতে তা শোধ দেওয়ার কথাও জানায় তারা। বারবার চুক্তি ভঙ্গ হওয়ায় টোল বুথগুলি স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে বন্ধ করিয়ে দেয় পূর্ত বিভাগ। তার পরেও বিনা রসিদে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল বুথের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে।
ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘চুক্তি ভঙ্গের জন্য টোল আদায়কারী সংস্থাটিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের এক আধিকারিক আশিস কুমার বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে টোল আদায়ের খবর পেয়ে পুলিশকে নিয়ে গিয়ে তিনটি বুথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন টেন্ডার ডাকা হয়েছে। দ্রুত বুথ চালু করার চেষ্টা চলছে।’’