—প্রতীকী ছবি।
পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ের (ভেরিফিকেশন) প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। অনেক সময়ে এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও শোনা যায়। তার জেরে পুলিশি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ হতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায় বলে অভিযোগ। তাই এ বার এই দীর্ঘসূত্রতা কমাতে পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ের সময় বেঁধে দিল লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সব থানায় পাঠানো এক নির্দেশিকায় লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, ২০ দিনের মধ্যে পাসপোর্টের পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বর্তমানে যে সব পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ের কাজ আটকে রয়েছে, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানার ওসিদের বলা হয়েছে, পুলিশ অফিসার যাতে ২০ দিনের মধ্যে যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন, তা দেখতে হবে।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল এই নির্দেশ জারি করেছেন। সব থানাকে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পাসপোর্টের পুলিশি যাচাই নিয়ে কোনও রকম অভিযোগ বা দীর্ঘসূত্রতা সহ্য করা হবে না। এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে কলকাতা পুলিশের থানা এবং সিকিয়োরিটি কন্ট্রোল ভাগ করে পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ে অংশ নেয়। তবে বেশির ভাগটাই থানার তরফে করা হয়। এর জন্য প্রতিটি থানায় এক জন করে পাসপোর্ট অফিসার রয়েছেন। যাঁর কাজ, ওই পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ের কাজ করা। মূলত দ্রুত ওই প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য কয়েক বছর আগে এক জন অফিসারকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, প্রক্রিয়া আরও সহজতর করার জন্য একটি অ্যাপও ব্যবহার করে থাকেন পুলিশের পাসপোর্ট অফিসার। কিন্তু অভিযোগ, এত কিছুর পরেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ের কাজ হচ্ছে না।
লালবাজারের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ৭১টি থানায় এক জন করে অফিসার পাসপোর্ট যাচাইয়ের কাজ করেন। গোটা কলকাতা পুলিশ এলাকায়বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশি যাচাই বাকি রয়েছে ২৫৩০টি। যার মধ্যে ২০ দিনের বেশি হয়ে গিয়েছে অথচ পুলিশি যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়নি, এমন সংখ্যা ১০১১টি।
জানা গিয়েছে, বাঁশদ্রোণী, হরিদেবপুর, কসবা এবং নেতাজিনগর থানায় পাসপোর্টের পুলিশি যাচাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শেষ হয়নি যথাক্রমে ১৭০, ১৫০, ১৩০ এবং ১০৫ জনের।পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, পুলিশি যাচাই নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। আরও অভিযোগ, সন্তুষ্ট না হলে যাচাইয়ের কাজ শেষ না করেই ফেলে রাখা হয়। সেই পরিস্থিতি যাতে না হয়, তার জন্যই এই নতুন নির্দেশ।