প্রতীকী ছবি।
বিসর্জনের পরে কাঠামো যাতে গঙ্গায় না চলে যায় তা রুখতে নদীতে দড়ির জাল লাগাবে পুলিশ। বুধবার কলকাতা পুরভবনে পুর প্রশাসন এবং পুলিশের যৌথ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিমার কাঠামোয় থাকা অনেক জিনিস গঙ্গায় মিশে দূষণ ছড়ায়। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় পরিবেশ আদালত আপত্তি তুলে বলেছে কাঠামো যাতে গঙ্গায় না থাকে দ্রুত সে ব্যবস্থা হোক।
সেই নির্দেশিকা মানতেই এ বার গঙ্গার যে সব ঘাটে বিসর্জন হয়, সেখানে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দড়ির জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হবে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, পুলিশ ও পুরসভা ওই কাজ করবে। কোন ঘাটে কত দূর পর্যন্ত দড়ি দিয়ে ঘেরা হবে তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হবে দু’একদিনের মধ্যেই। তিনি জানান, ভাসানের জন্য সব চেয়ে ভিড় হওয়া বাজেকদমতলা, বাবুঘাট এবং নিমতলা ঘাটে বাড়তি সতর্কতা থাকবে। এক পুর অফিসার জানান, দড়ির জাল থাকার কারণে কোনও কাঠামো মাঝ গঙ্গায় যেতে পারবে না। আগামী ১৯-২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জনের সময় নির্ধারিত করেছে রাজ্য সরকার। প্রতিদিন নিরঞ্জন পর্ব শেষ হলেই দ্রুত কাঠামো পাড়ে তোলার কাজ শুরু হবে। পরে তা ফেলে আসা হবে ধাপায়। সেই কাজ শেষ হলেই গঙ্গা থেকে দড়ির জাল তুলে ফেলা হবে।
এ দিন মেয়র পারিষদ-সহ পুর কমিশনার এবং কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা হাজির ছিলেন বৈঠকে। বিসর্জনের পাশাপাশি মহালয়ার তর্পণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে সেখানে। দেবাশিসবাবু জানান, এ বার মহালয়া ৮ এবং ৯ অক্টোবর দু’দিন ধরে হবে। ৯ তারিখ ভোরে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে তর্পণের ভিড় হবে। তাই ওই দু’দিন ঘাটের অন্ধকার দূর করতে আলো লাগানো হবে। থাকবে পুলিশের পাহারা। একই সঙ্গে গঙ্গায় নজর রাখবে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তিনি জানান, শহরের অনেক পুকুর বা জলাশয়েও অনেকে তর্পণ করেন। তাই পুকুর বা জলাশয়েও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ছট পুজো নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পুর কমিশনার খলিল আহমেদ জানান, ছট উপলক্ষেও অনেক ঘাটেই জনসমাগম হয়। অনেক মহিলা ও বাচ্চা থাকেন সেই ভিড়ে। কোনও অঘটন যাতে না ঘটে সে দিকে বাড়তি সতর্ক থাকবে পুলিশ এবং পুরসভার দল।