সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় থাকছেন কর্মী-সমর্থকেরা

সর্বত্রই চোখে পড়েছে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা। এ দিন সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেল, বাস থেকে একে একে নামছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪১
Share:

সারিবদ্ধ: সেন্ট্রাল পার্কে খাবার নেওয়ার লাইনে সভায় যোগ দিতে আসা জনতার ভিড়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

কাল, শনিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। সেই উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার দিন যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে ভিড়। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, আলিপুরের উত্তীর্ণ-সহ একাধিক জায়গায় তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সল্টলেকের স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণে মূলত থাকছেন দিনাজপুর থেকে দার্জিলিং জেলার কর্মী-সমর্থকেরা। উত্তর কলকাতার কয়েকটি ধর্মশালায় রাখা হয়েছে অন্য জেলাগুলি থেকে আসা সমর্থকদের।

Advertisement

সর্বত্রই চোখে পড়েছে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা। এ দিন সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেল, বাস থেকে একে একে নামছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকেরা তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। পরিচিতি লিখে নেওয়ার পরে তাঁদের নির্দিষ্ট তাঁবুতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। সমর্থকদের দেখভালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও নেতা-কর্মীদের নজরদারি যেমন রয়েছে, তেমনই আছেন পুলিশ ও বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীরাও। মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের ব্যবস্থা থাকছে। বিশেষ

জোর দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতায়। কলকাতা, শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে মন্ত্রী এবং নেতা-নেত্রীদের নির্দিষ্ট ভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সল্টলেকের স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা। পেল্লায় তাঁবুতে থাকছে কম্বল, কার্পেট। দিনে তিন-চার বার খাওয়ার ব্যবস্থা। খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভাত, ডাল, আনাজ ও

ডিম। বলা হয়েছে, তাঁবুতে সিগারেট খাওয়া চলবে না। যত্রতত্র ফেলা যাবে না খাবার কিংবা আবর্জনা। প্রতিটি তাঁবুর বাইরে রয়েছে পর্যাপ্ত ভ্যাট ও পানীয় জলের ট্যাঙ্কার। মহিলা এবং পুরুষদের জন্য পৃথক শৌচাগার থাকছে। নিয়মিত সময় অন্তর গোটা জায়গা সাফ করা হচ্ছে।

এ দিন স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণে ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। কয়েকশো তৃণমূলকর্মী দিনভর দেখভালের কাজ করছেন সেখানে। পরে অভিষেক যান ‘উত্তীর্ণ’-এর ব্যবস্থাপনা দেখতে। দমকলমন্ত্রী জানান, মালদহ বাদে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলির কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে সল্টলেকে। কলকাতা, শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে করে তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement