তৃণমূল কাউন্সিলরের বাধার মুখে ফিরলেন পুর ইঞ্জিনিয়ররা

কলোনির ‘বেআইনি’ বাড়ি ভাঙতে গিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্তের বাধার সম্মুখীন হলেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। শুক্রবার সকালে টালিগঞ্জের অশ্বিনীনগর কলোনিতে ঘটনাটি ঘটে। আদালতের নির্দেশের প্রতিলিপি, পুলিশ নিয়ে গিয়েও তপনবাবুর অনুগামী এবং বাসিন্দাদের একাংশের বাধায় বেআইনি বাড়ির এক ইঞ্চিও স্পর্শ না করে পুরসভার কার্যালয়ে ফিরে গেলেন ইঞ্জিনিয়াররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৫ ১৭:৪৯
Share:

পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলছেন তপন দাশগুপ্ত। ছবি: রণজিত্ নন্দী।

কলোনির ‘বেআইনি’ বাড়ি ভাঙতে গিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্তের বাধার সম্মুখীন হলেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। শুক্রবার সকালে টালিগঞ্জের অশ্বিনীনগর কলোনিতে ঘটনাটি ঘটে। আদালতের নির্দেশের প্রতিলিপি, পুলিশ নিয়ে গিয়েও তপনবাবুর অনুগামী এবং বাসিন্দাদের একাংশের বাধায় বেআইনি বাড়ির এক ইঞ্চিও স্পর্শ না করে পুরসভার কার্যালয়ে ফিরে গেলেন ইঞ্জিনিয়াররা।
পুরসভায় বোর্ড তৃণমূলের। তপনবাবুও সেই দলেরই পুর প্রতিনিধি। তা হলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কেন বাধা দিচ্ছেন তিনি? প্রশ্ন শুনে তপনবাবুর সাফ উত্তর,‘‘কলোনির অধিকাংশই বাড়িই আইন না মেনে হয়েছে। এই কলোনিতেই প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রশান্ত শূর এবং টালিগঞ্জের বিধায়ক ও বর্তমান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বাড়ি রয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়ি ভাঙতে হলে আগে তাঁদের বাড়ি ভেঙে দৃষ্টান্ত তৈরি করা হোক। তারপরে সাধারণ মানুষের বাড়ি ভাঙবে পুরসভা।’’

Advertisement

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলোনির মানুষদের বিড়ম্বনায় ফেলার কোনও উদ্দেশ্য আমাদের নেই। ঘটনার কথা জানতাম না। এখন কোনও বাড়ি ভাঙতে গেলে মেয়র বা কমিশনারকে জানিয়ে যেতে হয়। তাই না জানিয়ে পুরসভার কে বা কারা ওই বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিল সেই বিষয়ে খোঁজ নেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement