হাসপাতাল ভাঙচুরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: ভিডিয়ো সৌজন্যে।
চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিন যুবক। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালের নিয়মমতো পুলিশে খবর দিতে আপত্তি ছিল তাঁদের। এ নিয়ে বচসার সময়ে ওই হাসপাতালের ম্যানেজারকে ঘুসি মারার অভিযোগ উঠল ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে সল্টলেকের ডিডি ব্লকের ওই ঘটনার পরে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম আনন্দকুমার মণ্ডল, অভিনব কুমার এবং সুমিত নাগর। তিন অভিযুক্তই সল্টলেকের একটি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্র।
ওই হাসপাতালের ম্যানেজার বিদ্যুৎ দাস শনিবার পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ ধৃত ছাত্রেরা হাসপাতালে যান। তাঁদের মধ্যে এক জনের মাথা ফেটে গিয়েছিল। তাঁর ক্ষতস্থানে সেলাই করার প্রয়োজন থাকলেও তা করাতে রাজি হননি আহত ছাত্র। এর পরে ওই তিন ছাত্রকে মেডিকো লিগাল ফর্ম পূরণ করতে বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই ছাত্রদের পাল্টা দাবি ছিল যে, পুলিশকে যেন কিছু জানানো না হয়। এ নিয়ে বিদ্যুৎবাবুর সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
অভিযোগ, বচসার সময়ে আচমকা বিদ্যুৎবাবুর মুখে ঘুসি মারেন অভিনব। এর পরেই অভিযুক্তেরা পালানোর চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ধরে ফেলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে প্রথমে তাঁদের আটক করে।শনিবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার জেরে গুরুতর ভাবে জখম বিদ্যুৎবাবু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চোখের পাশে আঘাত লেগেছে।
দেখুন ভিডিয়ো
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার আগে সল্টলেকের একটি শপিং মলের কাছেও গোলমাল করেছিলেন ওই ছাত্রেরা। সেই ঘটনাও তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হলে তাঁদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।