কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া ভেজাল দুধ। —নিজস্ব চিত্র।
একটা বড় পাত্রে জল দিয়ে তাতে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিটারজেন্ট পাউডার। তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে প্যাকেট ভর্তি রাসায়নিক, তারপর মেশানো হচ্ছে অ্যারারুট। মিশছে আরও কিছু রাসায়নিক। ব্যস! আসল-নকল বোঝে আর কার সাধ্যি! এইভাবেই দীর্ঘদিন ধরে খাস কলকাতার বুকে রমরমিয়ে চলছিল ভেজাল দুধের কারবার। বৃহস্পতিবার রাতে সেই কারখানাতেই হানা দিল পুলিশ।হাতেনাতে ধরা পড়েছে তিন জন।
মুচিপাড়া থানা এলাকার বৈঠকখানা রোড। এই ঠিকানাতেই এত দিন ধরে ভেজাল দুধ তৈরির কারখানা চলছিল। দামি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে ভরে সেই দুধ আবার চলে যেত বিভিন্ন হোটেলে, বাড়িতে, দোকানে। এতদিন এই দুধইখাচ্ছিলেন মানুষ। সম্প্রতি গোপন সূত্রে পুলিশ এই কারখানার হদিশ পায়।
বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকখানার রোডের ওই ঠিকানায় হানা দেয় মুচিপাড়া থানার পুলিশের একটি দল। কারখানার ভিতরে সে সময় তিন যুবক ছিল। তাদেরই হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৩৬০ লিটার ভেজাল দুধও। উদ্ধার হয়েছে দুধ তৈরির সামগ্রী। বিভিন্ন রাসায়নিক, অ্যারারুট এবং ডিটারজেন্ট পাউডারের মতো সামগ্রী।
আরও পড়ুন: এক টুকরো সয়াবিন দিয়েই বুঝে যাবেন দুধ ভেজাল কি না!