সুতানুটি, গোবিন্দপুরের সঙ্গে অতীতের কলকাতা থেকে আজকের কলকাতা। আলো ও ধ্বনি যোগে এই তথ্যচিত্র দেখা যাবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। থাকবে অতীত থেকে বর্তমানের বিশিষ্টজনেদের প্রসঙ্গ। ফুটে উঠবে পুরনো কলকাতার হাল-হকিকত। রাজ্যের মানুষের কাছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে পর্যটন দফতর। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ সহায়তায় ওই প্রকল্প রূপায়িত হবে কয়েক মাসের মধ্যেই। আর তা রূপায়ণের ভার পড়েছে রাইট্স-এর উপরে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আলো ও ধ্বনির সাহায্যে এখন একটি অনুষ্ঠান হয়। তবে তা দেখানো হয় মূলত পর্দার উপরে। রাইট্স-এর তরফে জানানো হয়েছে, নতুন পরিকল্পনায় ওই অনুষ্ঠানটি দেখানো হবে ভিক্টোরিয়ার পশ্চিম দিকের দেওয়ালে। সেটিই হবে স্ক্রিন। তার উপরে ত্রিমাত্রিক (৩ডি) প্রযুক্তিতে ভেসে উঠবে পুরনো কলকাতার ইতিহাস নিয়ে ওই তথ্যচিত্র।
ওই তথ্যচিত্রে যেমন থাকবে শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ-সহ মনীষীদের সম্পর্কে নানা তথ্য, তেমনই থাকবে দক্ষিণেশ্বর, জোড়াসাঁকো-সহ শহরের ঐতিহ্যবাহী মন্দির, মসজিদ এবং গির্জার তথ্যও। যুক্ত করা হবে হাল আমলের ঘটনাপঞ্জীও। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও থাকবেন ওই তথ্যচিত্রে।
এই প্রকল্পে কলকাতা পুরসভা হবে নোডাল এজেন্সি। এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তা পৌঁছবে কলকাতা পুর-প্রশাসনের হাতে। প্রকল্প রূপায়ণে রাইট্সকে সহযোগিতা করবে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আলো দফতর। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা।
ইতিমধ্যেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে পুরসভা ও রাইট্স-এর। ভিক্টোরিয়ার পরিচালন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র মিললেই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
রাইট্স-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মূলত ভিন্ রাজ্য থেকে কলকাতায় আসা পর্যটকদের কথা ভেবেই বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি— তিন ভাষাতেই ওই তথ্যচিত্র দেখানো হবে। তথ্যচিত্রের দৈর্ঘ্য থাকবে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে।