হরিদেবপুরের একটি হস্টেলে পাঁচ জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
হরিদেবপুরে একটি হস্টেলে নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ। পাঁচ জন ছাত্রীর অভিভাবক এ বিষয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে হস্টেলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হস্টেলের শিক্ষক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ চলছে।
হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত কেওড়াপুর এলাকার সেন্ট পল্স চার্চের ঘটনা। ওই চার্চের অধীনে একটি মেয়েদের হস্টেলও রয়েছে। সেখানেই পাঁচ নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হস্টেল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এক মহিলা। তিনি এবং তাঁর স্বামী হস্টেলেই থাকতেন। ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আসে। পরে জানা যায়, হস্টেলের এক শিক্ষক এবং অন্য এক কর্মচারীও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ জানিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর হস্টেলের ছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবকদের দেখা করার দিন ছিল। অভিভাবকদের কাছে পাঁচ ছাত্রী অভিযোগ করেন, অগস্ট মাসে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তাঁদের ইংরেজি শিক্ষকও।
অভিভাবকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ। চার্চের ফাদার দীপেন্দু প্রামাণিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রবিবারই। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই পাঁচ ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে শিশুসুরক্ষা কমিশনের সঙ্গেও। পাঁচ জনকে হস্টেল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হোমে পাঠিয়েছিল। শিশুসুরক্ষা কমিশনের কথা অনুযায়ী তাদের তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে হস্টেলের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মহিলাকে। ইংরেজি শিক্ষক এবং হস্টেলের অপর অভিযুক্ত কর্মচারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলার স্বামীর খোঁজ চলছে। তাঁর বিরুদ্ধেও উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা।