প্রতীকী চিত্র।
চুরির মাল ধরা পড়েছে। পাকড়াও হয়েছে অপরাধীরাও। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কাটছে না কর্মীদের। কারণ যে ভাবে চুরি হয়েছে তা কোনও সাধারণ চুরির ঘটনা বলে মনেই করছেন না মেট্রোকর্মীরা। তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও মেট্রো প্রকল্প এলাকায় নজরদারিতে জোর বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিধাননগর পুলিশ। তাঁদের আরও দাবি, ওই চুরি চক্রের প্রায় সকলকেই ধরা হয়েছে। আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ থেকে ২৮ মে-র মধ্যে নিউ টাউনে নির্মীয়মাণ ২টি মেট্রো স্টেশন এলাকা থেকে চুরির ঘটনা ঘটে। প্রথম ঘটনায় কাউকে হাতেনাতে ধরা না গেলেও পরের ঘটনায় একটি গাড়ি আটক ও চালক-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এই চক্রটি পাইপ, ব্যাটারি-সহ অন্য যন্ত্রাংশ চুরি করে একটি গুদামে সরবরাহ করত। সেই গুদামের মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মেট্রো স্টেশন নির্মাণের কাজে যুক্ত একটি সংস্থার কর্মীরা জানান, রীতিমতো গাড়ি এনে চুরি করেছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের ধরার চেষ্টা করায় পাথর ছুড়েছিল। সেই আতঙ্ক তাঁদের আজও কাটেনি।
যদিও পুলিশের দাবি, ঘটনায় একটি চক্র সক্রিয় হয়েছিল। তদন্তে নেমে বাগুইআটি, নারায়ণপুর বেড়াবেড়ি এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। চুরি যাওয়া সামগ্রীও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরে মেট্রো প্রকল্প এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তবে নির্মাণকারী সংস্থার নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী থাকা সত্ত্বেও কিভাবে চুরি হল, সে দিকটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। নির্মাণকারী সংস্থার এক আধিকারিক অলোককুমার পান বলেন, ‘‘বিধাননগর পুলিশের সহযোগিতায় দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। ঘটনার পর থেকে নির্মীয়মাণ স্টেশন এলাকায় পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।’’