কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতা পুরসভার শীর্ষ পদে একাধিক রদবদল হয়েছে। যার উপরে ভিত্তি করে শীর্ষপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে কাজের নির্দিষ্ট বণ্টন করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। যাতে কাজে সমন্বয়ের পাশাপাশি, নতুন পদে যোগদানের ফলে শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে কাজ সম্পর্কিত কোনও বিভ্রান্তি না থাকে। এই সংক্রান্ত নির্দেশ পুর কমিশনারের অফিসের তরফে সব দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি মাসে অতিরিক্ত পুর কমিশনার এবং পুরসচিব পদে দুই শীর্ষ
কর্তা যোগ দিয়েছেন। এর ফলে শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে কাজের পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন বোধ করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সে কারণে অতিরিক্ত পুর কমিশনার, পুরসচিব এবং যুগ্ম পুর
কমিশনারের কাজের দায়িত্ব নির্দিষ্ট ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, সদ্য নিযুক্ত অতিরিক্ত পুর কমিশনার এবং পুরসচিব সরাসরি পুর কমিশনারের কাছে রিপোর্ট করবেন।
পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, অতিরিক্ত পুর কমিশনারের অধীনে মোট ৩৩টি কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসনিক কাজ, অফিস ব্যবস্থাপনা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ ও ঐতিহ্য, পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি, রাস্তা, তথ্যপ্রযুক্তি, টালি নালা, নগর পরিকল্পনা দফতর যেমন রয়েছে, তেমনই আছে রাজস্ব আদায় ও মূল্যায়ন, লাইসেন্স, বিনোদন কর দফতর, জাতীয় পরিবেশ আদালত সংক্রান্ত মামলা, জমি সংক্রান্ত বিষয়, বিচারাধীন মামলা, জলাশয় ব্যবস্থাপনা বোর্ড, অডিটের দেখাশোনা-সহ একাধিক কাজ।
আবার যুগ্ম পুর কমিশনারকে স্বাস্থ্য, সাংসদ তহবিল, শিক্ষা, বস্তি, উদ্যান ও বাগিচা, আলো, বাজার-সহ একাধিক দফতরের কাজ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে কলকাতা পুর আইন, ১৯৮০ অনুযায়ী পুরসচিবের যে দায়িত্ব রয়েছে, তা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই পদে নিযুক্ত কর্তাকে।
এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘শীর্ষ পদে রদবদল হলে শুরুর দিকে কার কী কাজ, সে ব্যাপারে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তা যাতে না হয় এবং পুর পরিষেবার কাজ যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, সে কারণেই নির্দিষ্ট ভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।’’