Contentment Zone

বিধাননগরে এলাকা আটকাতে বসল গার্ডরেল

নিউ টাউনের বিভিন্ন জায়গায় এ দিনও মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোনো বাইকআরোহী ও পথচারীদের দাঁড় করিয়ে তাঁদের মাস্ক দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০ ০৪:২৪
Share:

—ফাইল ছবি

সকালে মাইকিং করে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতার প্রচার করেছে বিধাননগর পুলিশ। আর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার মোট ১১টি কন্টেনমেন্ট জ়োনে কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। রাজারহাট, বাগুইআটি, লেক টাউন, বিধাননগর উত্তর ও দক্ষিণ থানা এলাকার কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলিতে গার্ডরেল বসিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে এলাকা।

Advertisement

এ দিন বিধাননগরের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সদর) রণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১১টি কন্টেনমেন্ট জ়োনের চিহ্নিত অংশে গার্ডরেল বসানো হয়েছে এবং মাইকিং করে সরকারি নির্দেশ পালন করার কথা জানানো হয়েছে স্থানীয়দের। ওই সমস্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি চলছে টহলদারিও। তবে তার বাইরেও প্রতিটি থানা এলাকায় সচেতনতার প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। নিউ টাউনের বিভিন্ন জায়গায় এ দিনও মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোনো বাইকআরোহী ও পথচারীদের দাঁড় করিয়ে তাঁদের মাস্ক দিয়েছে পুলিশ।

বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এ দিন জানান, সরকার যে সব এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুরকর্মীরাও বাসিন্দাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। শুধু কন্টেনমেন্ট জ়োনেই নয়, করোনা মোকাবিলায় পুর এলাকার সকল বাসিন্দাকেই সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলার এবং মাস্ক পরার আবেদন জানিয়েছেন মেয়র।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পুর এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এক ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক-সহ মোট ৪২ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। এ ছাড়া আড়াইশোরও বেশি নাগরিক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, জুনের শেষ দিক থেকে একাধিক ওয়ার্ড থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি বাড়িতে থেকেও অনেক আক্রান্ত চিকিৎসা করাচ্ছেন। পুরসভার একটি সূত্রের দাবি, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও যে সব এলাকায় করোনার প্রকোপ বেড়েছে, সেই এলাকাগুলিকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করে কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে।

পুর আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও দিনে-রাতে দোকান-বাজারে যাওয়ার সময়ে দূরত্ব-বিধি মানতে বা মাস্ক পরতে দেখা যায়নি বহু স্থানীয়কেই। তাই সচেতনতার প্রচারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement