প্রতীকী ছবি।
অভিযুক্তদের শাস্তি হল না। কিন্তু র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পড়ুয়া, তাঁকে মঙ্গলবার অন্য হস্টেলে পাঠানো হল। উত্তর কলকাতার নিউ ল’কলেজ হস্টেলের বদলে বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের ভিতরের হস্টেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বয়ং গিয়ে এ দিন ওই ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা করেন।
ছাত্রের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে অন্য হস্টেলে থাকতে পারবে বলে স্বস্তি পেয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, র্যাগিংয়ে জড়িতদের শাস্তি হবে না কেন? ইউজিসি-র নির্দেশে দু’দফায় তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র অভিযোগ করেছিলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নিউ ল’কলেজ হস্টেলে তাঁকে র্যাগিং করেন উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা। যৌন হেনস্থা, লাঠি দিয়ে মারধর করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। মাথা ফেটে গিয়েছিল তাঁর। খবর পেয়ে ভোরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
এর পরে ওই ছাত্র ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে, পরে পুলিশে অভিযোগ জানান। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-বিরোধী সেল একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল। তদন্তের পরে কর্তৃপক্ষ জানান, এ রকম ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ইউজিসি তদন্তের নির্দেশ দেয়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও নিরপেক্ষ তদন্তের উপরে জোর দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বার তদন্ত করেও ঘটনার সত্যতা নেই বলে কর্তৃপক্ষ ইউজিসিকে জানিয়েছিলেন। এর পরে ইউজিসি, বিশ্ববিদ্যালয়কে পড়ুয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়।
রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অন্য এক পড়ুয়ার সঙ্গে ওই ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ছাত্রের মা এ দিন জানান, আগে কর্তৃপক্ষ আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করবেন বলেছিলেন। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘পরে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।’’ অভিযুক্তদের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তদন্তে ঘটনার সত্যতাই পাওয়া যায়নি। পুলিশ কাউকে দোষী সাব্যস্ত করলে আমাদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’’