Gangstar

দ্বিতীয় ময়না-তদন্তেও মিলল না নির্যাতনের প্রমাণ

‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে পঞ্জাবের দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার লুকিয়ে আছে, এই খবর পেয়েই ৯ জুন সেখানে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২১ ০৬:৪১
Share:

জয়পাল সিংহ ভুল্লার। ফাইল চিত্র।

নিউ টাউনে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত, পঞ্জাবের গ্যাংস্টার জয়পাল সিংহ ভুল্লারের দেহের দ্বিতীয় ময়না-তদন্তের রিপোর্টেও শারীরিক নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বুধবার সেই রিপোর্ট দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।

Advertisement

‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে পঞ্জাবের দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার লুকিয়ে আছে, এই খবর পেয়েই ৯ জুন সেখানে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। জয়পাল সিংহ ভুল্লার ও যশপ্রীত খারার নামে দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে গুলির লড়াই বাধে পুলিশের। তাতে ওই দু’জনের মৃত্যু হয় বলে দাবি করে এসটিএফ। ময়না-তদন্তের পরে দেহগুলি দুই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জয়পালের পরিবার এর পরে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পঞ্জাবে গিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্তের নির্দেশ দিতে রাজি না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে যান তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আদালত দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্তের নির্দেশ দেয়। চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর ময়না-তদন্তের কাজটি সম্পন্ন করে। এই প্রক্রিয়ার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বারের ময়না-তদন্তেও জয়পালের দেহে শারীরিক নির্যাতনের কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কিন্তু এই রিপোর্ট নিয়েও তাঁরা সন্তুষ্ট নন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জয়পালের পরিজনেরা। তবে এর ফলে পুলিশের অস্বস্তি দূর হল বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

এ দিকে, ওই অভিযানে আহত হয়েছিলেন কার্তিকমোহন ঘোষ নামে এসটিএফের এক অফিসার। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৪ দিন হাসপাতালে থাকার পরে বুধবার তিনি ছাড়া পান। এ দিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসটিএফের সদর কার্যালয়ে। সেখানে সহকর্মীরা পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান তাঁকে। এর পরে রাজ্য এসটিএফের এডিজি বিনীত গোয়েল, আইজি রাজেশ যাদব ও ডিআইজি দীপনারায়ণ গোস্বামী ওই অফিসারকে সংবর্ধনা দেন। আধিকারিকেরা জানান, কার্তিকবাবু খুবই সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসাধীন থাকবেন কার্তিকবাবু। তিনি নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা হলেও কয়েক জন সহকর্মীর সঙ্গে ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনেই ভাড়া থাকতেন। গ্যাংস্টারদের ছোড়া একটি গুলি তাঁর বাঁ কাঁধ ফুঁড়ে হাত দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে তাঁর স্নায়ুর ক্ষতি হয়েছে। আপাতত তিনি বাঁ হাত দিয়ে কিছু করতে পারবেন না। সূত্রের খবর, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement