Education

উচ্চ মাধ্যমিকেও মেয়েদের জন্য দরজা খুলল স্কটিশ 

এখনও মাধ্যমিকের ফল বেরোয়নি। কিন্তু স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশে মেয়েদের পড়ার সুযোগ হচ্ছে, এমনটা জানতে পেরেই ৬৫-৭০ জন ছাত্রী একাদশের ফর্ম ভরেছে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৩
Share:

একাদশ ও দ্বাদশে মেয়েদের জন্যও দরজা খুলে দিল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। এই স্কুলে পড়তে ইচ্ছুক, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রীরা ঘুরে দেখছে পরীক্ষাগার। শুক্রবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

বছরখানেক আগে প্রাথমিকে মেয়েদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল ১৯৪ বছরের পুরনো স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার ডাফের জন্মদিনে শুক্রবার স্কুল কর্তৃপক্ষ জানালেন, এ বার একাদশ ও দ্বাদশেও মেয়েরা পড়তে পারবে।

Advertisement

তবে, প্রায় দুশো বছরের পুরনো এই স্কুলে প্রথা ভেঙে একাদশ ও দ্বাদশে সহশিক্ষা শুরু হতে চললেও পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে শুধু ছেলেদের জন্য। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যাল জানাচ্ছেন, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের পড়ানোর মতো পরিকাঠামো ভবিষ্যতে তৈরি করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।

কেন প্রথা ভেঙে সহশিক্ষার পথে হাঁটছে এই স্কুল? এর আগে কয়েকটি সরকারি স্কুলও শুরু করেছে সহশিক্ষা। ওই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ায় ছেলে ও মেয়েদের একসঙ্গে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যাল জানাচ্ছেন, তাঁদের স্কুলে পড়ুয়া কম হওয়ার সমস্যা নেই। বরং স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে পড়তে চেয়ে বহু পড়ুয়া আবেদন করে। বিভাস বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয়েছে, এ রকম ঐতিহ্যবাহী স্কুলে কেন শুধু ছেলেরা পড়ার সুযোগ পাবে? কেন মেয়েরা পড়ার সুযোগ পাবে না? অনেক অভিভাবকই আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে মেয়েদেরও পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তাই একাদশ ও দ্বাদশে এখানে মেয়েদেরও পড়ানোর সিদ্ধান্ত হল।’’

Advertisement

এখনও মাধ্যমিকের ফল বেরোয়নি। কিন্তু স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশে মেয়েদের পড়ার সুযোগ হচ্ছে, এমনটা জানতে পেরেই ৬৫-৭০ জন ছাত্রী একাদশের ফর্ম ভরেছে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই মেয়েদের অনেকে এ দিন স্কুলে এসে জানায়, বহু বার তাদের মনে হয়েছে, এলাকায় ভাল স্কুল থাকা সত্ত্বেও কেন তারা ভর্তি হতে পারে না? উপস্থিত এক ছাত্রী পৃথা চক্রবর্তী বলে, ‘‘আমার ইচ্ছা ছিল এমন স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার, যেখানে কলেজ আছে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করতে পারলে, স্কটিশ চার্চ কলেজেও পড়ার সুযোগ পাব।’’

এ দিন উপস্থিত ছিলেন ১৯৭৩ সালে স্কুল থেকে পাশ করা প্রাক্তন ছাত্রেরা। তাঁদের কয়েক জন জানান, সব সময়েই পড়াশোনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। সহশিক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত তাই যথাযথ। এ দিন স্কুলে উপস্থিত ছাত্রীদের স্কুল, পরীক্ষাগার ঘুরিয়ে দেখানো হয়। একাদশ ও দ্বাদশে যে নতুন সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মেয়েদের জন্য পরিকাঠামোও তৈরি করা হয়েছে। তাদের জন্য কমন রুম, আলাদা শ্রেণিকক্ষ, শৌচাগার হয়েছে। ছেলে এবং মেয়েদের একসঙ্গে পড়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষ তৈরিরও পরিকল্পনা আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement