প্রতীকী ছবি।
কী রোগ হয়েছে জানা নেই। অথচ রোগীকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। তাতে রোগীর স্বাস্থ্য বিমার সুবিধাও আটকে যায়। ঘটনার পরে নিজের অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরকে জানান রোগী। তাই রোগ অজানা হলেও অস্ত্রোপচারের পরামর্শ কী ভাবে দেওয়া হল তার ব্যাখ্যা আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব তলব করল স্বাস্থ্য ভবন।
গত অক্টোবরের শেষে প্রস্রাবের জায়গায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব করেন হিন্দ মোটরের বাসিন্দা আদিত্য বিক্রম। ভবানীপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মী ওই যুবক গত নভেম্বরের শুরুতে আলিপুরের কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য যান। আদিত্যের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে জানান প্রস্রাবের দ্বারের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে অস্ত্রোপচার করতে হবে। অস্ত্রোপচারের খরচের জন্য স্বাস্থ্য বিমার উপরে ভরসা করেছিলেন আদিত্য। কিন্তু রোগের নাম লেখা না থাকা এবং আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিমা সংস্থাও তাঁকে চূড়ান্ত হয়রানি করেছে বলেও আদিত্যের অভিযোগ।
তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে প্রিমিয়াম দিলেও বিমা সংস্থার প্রথমে বক্তব্য ছিল, ২০১৯ সালের মার্চ থেকে তাঁর বিমা কার্যকর রয়েছে। এ নিয়ে দৌড়ঝাঁপের পরে সেই সমস্যার আংশিক সমাধান হয়। দ্বিতীয় দফায় বিমার সুবিধা দিতে আপত্তি জানিয়ে সংস্থা বলে, আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল অস্ত্রোপচারের কারণ নিয়ে কিছু জানায়নি। তাই বিমার সুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতাল এবং বিমা সংস্থার টানাপড়েনে অস্ত্রোপচার বাতিল করতে হয় বলে অভিযোগ ওই রোগীর।
এই পরিস্থিতিতে তিনি আর একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। আদিত্য জানান, হাসপাতালের তরফে বিমা সংস্থাকে জানানো হয় তাঁকে ‘ফ্রেনুলোপ্লাস্টি’ করার জন্য ভর্তি করতে হবে। এর পরে তাঁর ওই অস্ত্রোপচার হয়। বিমার সুবিধা পেতে আর অসুবিধা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই যুবক।
তাঁর অভিযোগ, ‘‘আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল অস্ত্রোপচারের কারণের জায়গায় লিখেছিল, ‘আননোন কজ’। এ কী ভাবে সম্ভব?’’ বস্তুত, এই প্রশ্নেই ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদিত্য। যুবকের অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি-সহ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। অভিযোগ প্রসঙ্গে দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাঁদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিক্রিয়া জানতে সেখানকার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার নিবেদিতা ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি।