Kasba Student Death

ছাত্রের মৃত্যুর রহস্য কাটাতে ঘটনাস্থল পরীক্ষা চিকিৎসকদের

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ঘটনার দিন অঙ্কের প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ওই পড়ুয়ার। কিন্তু তা জমা না দেওয়ায় তাকে বকাবকি করেন শিক্ষক। ওই ছাত্রকে স্টাফ রুমেও ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৪১
Share:
An image of NRS Hospital

এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

কসবায় এক স্কুলছাত্রের রহস্য-মৃত্যুর ঘটনায় এ বার ওই স্কুলে গেলেন এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকেরা। স্কুলভবনের ছ’তলার যেখান থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার, বুধবার গিয়ে সেই জায়গাটি খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি, রহস্যের জট ছাড়াতে এ দিন কয়েক জন শিক্ষককে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

Advertisement

মঙ্গলবার এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেখ শান নামে ওই ছাত্রের দেহের ময়না তদন্ত করে তিন সদস্যের মেডিক্যাল টিম। যার প্রাথমিক রিপোর্টে ওই পড়ুয়ার চোয়াল-সহ শরীরের ডান দিকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ভাঙা ছিল ডান পায়ের পাতা এবং কোমরের অংশও। চিকিৎসকদের অনুমান, অত উপর থেকে পড়ার ফলেই এই আঘাত লাগে ছাত্রটির। এ দিন বেলার দিকে ময়না তদন্তকারী দলের দুই সদস্য স্কুলে পৌঁছন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে গোটা বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই তাঁদের এই পরিদর্শন।

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ঘটনার দিন অঙ্কের প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ওই পড়ুয়ার। কিন্তু তা জমা না দেওয়ায় তাকে বকাবকি করেন শিক্ষক। ওই ছাত্রকে স্টাফ রুমেও ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনার দিন রাতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কসবা থানায় ইমেল করে গোটা বিষয়টি জানান। সেই বিষয়ে আরও বিশদে জানতেই এ দিন থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল স্কুলের কয়েক জন শিক্ষককে।দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা-সহ তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, প্রজেক্ট জমা নিয়ে বিস্তারিত জানতে শানের কয়েক জন সহপাঠীর বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীরা আরও জেনেছেন, ঘটনার দিন দুই আগে থেকে ওই পড়ুয়া হঠাৎই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা। এ দিন ডিসি (এসএসডি) বলেন, ‘‘স্কুলের কয়েক জনকে ডেকে আমরা তাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছি। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেই তদন্ত এগোনো হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement