KMC

পুর নার্সারির ফুল চাষেও লকডাউনের প্রভাব

উদ্যান দফতরের হিসেব অনুযায়ী, বর্ষায় মরসুমি ফুলের উৎপাদন প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ০১:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

লকডাউন প্রভাব ফেলেছে ফুলের চাষেও। করোনা সঙ্কটে বিভিন্ন সতর্কতামূলক নিষেধাজ্ঞার কারণে কলকাতা পুরসভার নার্সারিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার অনেক কম চারা বসানো হয়েছিল। তা ছাড়া আমপানেও নষ্ট হয়েছে অনেক চারা। ফলে ঘোর বর্ষাতে টগর, জুঁই কামিনী, করবী, বেল-সহ বিভিন্ন ফুলের উৎপাদনে পুরসভার নার্সারিতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। এমনই দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। পুরসভার পার্কগুলিতে অন্য বছর এই সব গাছ যত লাগানো হয় এ বার তা হয়নি। তা ছাড়া বেশ কিছু চারাও নষ্ট হয়েছে।

Advertisement

পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, “এ বার বর্ষায় পুরসভার নার্সারিতে ফুলের ঘাটতি হয়েছে। তবে এই সব ফুলগাছ শহরের রাস্তার ধারে বসানো হয় না। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে সে জন্য বিভিন্ন বরোয় নিম এবং দেবদারু গাছ বিতরণ করা হচ্ছে। সেগুলি বাইরে থেকে আনা হয়েছে।”

উদ্যান দফতরের হিসেব অনুযায়ী, বর্ষায় মরসুমি ফুলের উৎপাদন প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক তরুণ মণ্ডল বলেন, “আমপানে বড় গাছের ডাল পড়ে ছোট ছোট টবে থাকা ফুলগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া লকডাউনে কর্মী কম আসায় ফুলের চাষে ক্ষতি হয়েছে।”

Advertisement

উত্তর ও দক্ষিণে কলকাতা পুরসভার দু’টি নার্সারি রয়েছে।

টালা পার্ক এবং উডবার্ন পার্কের দুই নার্সারিতে সারা বছর মরসুমি ফুলের চাষ হয়। ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরেরা তাঁদের ওয়ার্ডের জন্য ওই সব নার্সারি

থেকে চারা নিয়ে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও পুর নার্সারি থেকে বিভিন্ন ফুলের চারা নেন।

পুর কর্তৃপক্ষ জানান, তবে শহর জুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বড় গাছের চারাগুলিকে বাইরে থেকে আনাতে হয়। ওই সব চারা নার্সারিতে তৈরি করা যায় না। মূলত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং কর্পোরেট সংস্থা পথের ধারে বসানোর জন্য নিম এবং দেবদারুর মতো চারা দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে সফল করতে পুরসভার পাশে থাকছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement