Fire

পুড়ে যাওয়া বস্তিতে ফের ঘর বানিয়ে বাসিন্দাদের ফেরানোর পরিকল্পনা শুরু

গত ১৩ এপ্রিল বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মেলাবাগান বস্তির শতাধিক ঘর। আগুনে ঝলসে এবং ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক গবাদি পশুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:২০
Share:

দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া মেলাবাগান বস্তি। —নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া মেলাবাগান বস্তিতে বাসিন্দাদের ফেরানোর বিষয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বৈঠকও করেছেন পুরপ্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ওই বস্তিতেই ঘর তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য বলবৎ থাকা আদর্শ
আচরণবিধি বিবেচনায় রেখে জেলা এবং মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এবং ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকলেও এই মাত্রার বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ার পথে কোনও কিছু অন্তরায় হবে না।

Advertisement

গত ১৩ এপ্রিল বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মেলাবাগান বস্তির শতাধিক ঘর। আগুনে ঝলসে এবং ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক গবাদি পশুর। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। বস্তির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁদের সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার শূন্য থেকে সংসার শুরু করতে হবে। সকলেরই প্রশ্ন, কবে তাঁরা পুরনো ঠিকানায় ফিরতে পারবেন? স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি অস্মি পোদ্দার জানান, পোড়া বস্তি থেকে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস জানান, পর্যাপ্ত সংখ্যক ঘর তৈরির জন্য কতটা জায়গা মিলবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। সেই জায়গার মাপজোক করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করেছে জেলা প্রশাসনের একটি দল।

Advertisement

২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি অমিত পোদ্দার জানান, রবীন্দ্র ভবনের অস্থায়ী ঠিকানায় বাসিন্দাদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। পুরকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় যুবক-যুবতীরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁদের পানীয় জল, ওষুধ ও অন্যান্য পরিষেবা দেওয়ার কাজ করছেন। পুরনো ঠিকানায় কবে ফিরে আসতে পারবেন সকলে, আপাতত সেই অপেক্ষায় বাসিন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement