ছবি: সংগৃহীত
দু’পাশে রয়েছে বহু পুরনো বাড়ি। সে সব অক্ষত রেখেই ধাপে ধাপে ভাঙতে হবে পোস্তা উড়ালপুল। মঙ্গলবার উড়ালপুল ভাঙার কাজ পরিদর্শনে এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ দিন দুপুরে উড়ালপুল ভাঙার কাজ দেখতে যান কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। পরিদর্শন শেষে ফিরহাদ বলেন, “৪৫ দিনের মধ্যে উড়ালপুল ভাঙার প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। কম্পন-শূন্য প্রযুক্তির সাহায্যে এই কাজ শুরু হয়েছে। পুরো রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হবে।”
যে অংশ থেকে উড়ালপুল ভাঙা হবে, এ দিন প্রথমে সেখানে যান তাঁরা। ওই জায়গায় তখন ছিলেন কেএমডিএ, রাইটস এবং যে সংস্থা ওই উড়ালপুল ভাঙার বরাত পেয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা। ওই সংস্থার তরফে দেখানো হয়, কী পদ্ধতিতে ভাঙার কাজ হবে। সূত্রের খবর, পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার কাজ চলাকালীন আশপাশের এলাকায় কোনও কম্পন অনুভূত হবে না। এক সরকারি আধিকারিক জানান, স্ট্র্যান্ড রোডের উত্তরে লোহার কাঠামো প্রথমে ভাঙা হবে। লোহার বিম কাটার পরে তা নীচে বালির বস্তার উপরে নামিয়ে রাখা হবে। বিম ছোট ছোট করে কেটে লরিতে সরানো হবে। পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার জন্য গত ১৫ জুন থেকে স্ট্র্যান্ড রোডের উত্তর অংশে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। পোস্তা দিয়ে চলাচলকারী বাসগুলিকে মহাত্মা গাঁধী রোড দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। আর ছোট গাড়িকে মীরবাহার ঘাট রোড দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। লরি বা পণ্যবাহী গাড়িকে ঘুরিয়ে পোস্তায় ঢোকানো হচ্ছে।