—প্রতীকী চিত্র।
সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার মাসখানেক পরে সংশ্লিষ্ট ব্লক হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার। ঘটনাটি জানিয়ে পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
গত ২ জুলাই নিউ টাউনের একটি শপিং মলের সামনে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় খান উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা, বছর চব্বিশের সিদ্ধান্ত রক্ষিত। সেই রাতেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ভাঙড়ের কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সিদ্ধান্তের পরিজনেরা জানিয়েছেন, সাপে কামড়ানোর পরে প্রথমে যে হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে তাঁর চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত মাসে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে কলকাতায় এসেছিলেন সিদ্ধান্ত। নিউ টাউন চত্বরে ঘুরে বেড়ানোর সময়েই তাঁকে সাপ ছোবল মারে। তাঁর সঙ্গী ভাঙড়ের কাশীপুর থানার জিরেনগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান সিদ্ধান্তকে। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঠিক মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ওই যুবককে ফেলে রাখেন। তাঁকে অ্যান্টি-ভেনাম ইনজেকশন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ দিকে, সিদ্ধান্তের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকায় তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মারা যান ওই যুবক।
ঘটনার পরে তাঁর দেহ পৌঁছয় উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে মাসখানেক। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ থেকে কাশীপুর থানায় এসে সিদ্ধান্তের মামা অজিত প্রকাশ হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন।
অজিত বলেন, “জিরেনগাছা ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক ভাগ্নের ক্ষতস্থান পরীক্ষা না করে ফেলে রেখেছিলেন। তারই জেরে ভাগ্নের মৃত্যু হয়েছে। আমরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, “ওই রোগীর পরিবার অভিযোগ জানানোর অনেক আগেই আমরা তদন্ত কমিটি গড়েছি। কমিটি তার রিপোর্ট তৈরি করছে। রিপোর্ট পেলেই স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেব। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”