নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রাবাসে মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক কোরপান শাহকে পিটিয়ে খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এক পড়ুয়া-চিকিৎসককে সোমবার জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযুক্তের নাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর জেলা আদালতে গত ২৬ মার্চ জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় পরদিন, ২৭ মার্চ কল্যাণ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। এ দিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। পাশাপাশি আদালত বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কল্যাণ এনআরএস হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না।
এ দিনই হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই ঘটনায় অন্য চার অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে। তাঁদের নাম ইউসুফ জামাল, অরিজিৎ মণ্ডল, জাভেদ আখতার ও অনুরাগ সরকার। গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁরা তিন মাস জেল হেফাজতে রয়েছেন।
এ দিন আদালতে কল্যাণের আইনজীবী শেখর বসু ও তাপস ঘোষ তাঁর জামিনের আবেদন করে জানান, পুলিশ কল্যাণকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট পেশ করলেও তিনি আদৌ পলাতক ছিলেন না। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজে তিনি চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষাও দেন। আইনজীবীরা আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে গোপন জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে, তাতে কোথাও বলা হয়নি তিনি কোরপানকে পিটিয়ে মারতে প্ররোচনা দিয়েছেন। বরং বলা হয়েছে, কোরপানকে পেটাতে নিষেধ করেছিলেন কল্যাণ। সরকারি আইনজীবী মধুসূদন শূর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে কল্যাণের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে ডিভিশন বেঞ্চ।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর এনআরএসের ছাত্রাবাসে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন করা হয় কোরপানকে। ওই ঘটনায় পড়ুয়া-চিকিৎসক ও হাসপাতালের কয়েক জন কর্মী-সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।