সংগৃহীত চিত্র।
প্রতিমা বিসর্জনে গঙ্গার ঘাটগুলিতে যাতে ভিড় না হয়, সে জন্য নির্দেশিকা আগেই দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ওই সময়ে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়, সেই দিকে নজর রাখতে প্রতি বছরের মতোই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাল কলকাতা পুরসভা।পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার বুধবার বলেন, “প্রতি বছর বিসর্জনে যে ভাবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ আয়োজন করা হয়ে থাকে, এ বারেও তাই থাকছে। তবে অতিমারির বছরে অতিরিক্ত সংযোজন ঘাটগুলিতে ভিড় না করার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। বিসর্জনে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক।” এগুলি যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়, সে বিষয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে কর্তৃপক্ষের। পুরসভা সূত্রের খবর, শহর ও শহরতলির ১৩টি গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন হয়। সেগুলির সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুজোর ফুল-পাতা যাতে জলে না ফেলা হয়, সে জন্য ঘাটেই আলাদা জায়গা করা হবে। সেখানেই সে সব ফেলা হবে। প্রতিমার রং থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায়, অন্য বছরের মতো এ বারেও তাই প্রতিমা জলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়া হবে। সরানো হবে প্রতিমার কাঠামোও। প্রতিটি ঘাটেই থাকবে পে-লোডার। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, শহরের মূল তিনটি ঘাট―গ্বালিয়র, বাবুঘাট এবং নিমতলা ঘাটে সব থেকে বেশি বিসর্জন হয়। তাই ক্রেন রাখা থাকবে ওই তিন ঘাটেই। অন্যান্য ঘাটে স্থানাভাবে ক্রেন রাখা সম্ভব নয় বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাই সেখানে মোতায়েন কর্মীরাই সঙ্গে সঙ্গে জল থেকে প্রতিমা তুলে নেবেন। বিসর্জন প্রক্রিয়া চলাকালীন কলকাতা বন্দর এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও থাকবেন।পুরসভা সূত্রের খবর, গঙ্গার ঘাট ছাড়াও শহরতলির জলাশয়েও প্রতিমা বিসর্জন হয়। পুরকর্মী মোতায়েন করে সংশ্লিষ্ট বরো কর্তৃপক্ষকে সেখানে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।