কলকাতার চিৎপুর ব্রিজ ফাইল চিত্র
ভারবহণ ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য বন্ধ থাকবে চিৎপুর ব্রিজ। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পরের তিন দিন ওই ব্রিজ বন্ধ থাকবে। ফলে ওই রুটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যাবে তিনটি রাস্তা।
বিগত কয়েক বছরে একাধিক সেতু ভেঙে পড়ার সাক্ষী থেকেছে শহর কলকাতা-সহ এ রাজ্য। ওই সব দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেই দায়ী করা হয়েছে। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো শহর কলকাতার সেতুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা আগেই শুরু হয়েছিল। এ বার উত্তর কলকাতার চিৎপুর ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ওই ব্রিজের ভারবহণ ক্ষমতা পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। ফলে ৪ দিন বন্ধ থাকবে যান চলাচল। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ জুন সকাল ৬ টা থেকে ১৩ জুন রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চিৎপুর ব্রিজ। ফলে ওই দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট রুটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে।
টালা ব্রিজ বন্ধ থাকার ফলে যান চলাচলে চিৎপুর ব্রিজটির গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাগবাজারের দিক থেকে সিঁথি মোড়ের দিকে যাতায়াতের জন্য এই সেতুটির উপরই শহরবাসীকে অনেকাংশে নির্ভর করতে হয়। ফলে এই সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। তবে তা থেকে রেহাই পেতে বিকল্প রুট দিয়ে যান চলাচলের কথা জানিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। চিৎপুর ব্রিজের রাস্তা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আপাতত ৩টি বিকল্পের কথা বলা হয়েছে।
এক, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে ডানলপ অভিমুখে যাতায়াতের জন্য রাজবল্লভপাড়া, শ্যামবাজার, আরজি কর রোড ব্যবহার করা যাবে।
দুই, বিটি রোড থেকে কলকাতাগামী গাড়ি লকগেট ফ্লাইওভার হয়ে পিকে মুখোপাধ্যায় রোড ধরে পৌঁছনো যাবে বিধান সরণিতে।
তিন, কাশীপুর থেকে কলকাতাগামী গাড়ি যাবে কাশীপুর ব্রিজ হয়ে পিকে মুখোপাধ্যায় রোড ধরে বিধান সরণি।
করোনার কারণে বর্তমানে বিধি নির্ভর লকডাউন চলছে রাজ্যে। সেই কারণে এখন শহর কলকাতায় যান চলাচল অন্য সময়ের থেকে অনেক কম রয়েছে। ফলে নির্ধারিত বিকল্প পথ ব্যবহার করলে যানজট হওয়ার আশঙ্কা ততটা থাকবে না বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ।