ঘর ছাড়তেই হল এইচআইভি রোগীকে

পরিস্থিতি বদলাতে পারলেন না কেউই। বাড়িওয়ালার ‘নিদান’ মতো মঙ্গলবারই এইচআইভি পজিটিভ মেয়েকে নিয়ে ঘর ছাড়তে হল বামনগাছির বৃদ্ধাকে। পাশের পাড়ায় একটি ভাড়ার ঘর ঠিক করে দিয়েছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। অভিযোগ, রোগের খবর জানাজানি হওয়ায় এ দিন সকালে ভাড়া দেবেন না বলে বেঁকে বসেন নতুন বাড়িওয়ালাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৫ ০২:৪২
Share:

পরিস্থিতি বদলাতে পারলেন না কেউই। বাড়িওয়ালার ‘নিদান’ মতো মঙ্গলবারই এইচআইভি পজিটিভ মেয়েকে নিয়ে ঘর ছাড়তে হল বামনগাছির বৃদ্ধাকে।

Advertisement

পাশের পাড়ায় একটি ভাড়ার ঘর ঠিক করে দিয়েছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। অভিযোগ, রোগের খবর জানাজানি হওয়ায় এ দিন সকালে ভাড়া দেবেন না বলে বেঁকে বসেন নতুন বাড়িওয়ালাও। ফলে জিনিস হাতে মা-মেয়েকে বহুক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে বৃষ্টি শুরু হতেই অবশ্য ঘরে ঢুকতে দেন নতুন বাড়িওয়ালা। তবে মাত্র তিন দিনের জন্য। শর্ত, এর মধ্যেই অন্য ঘর দেখে উঠে যেতে হবে।

সকালে খবর পেয়ে বামনগাছি যান এইচআইভি আক্রান্তদের এক সংগঠনের সদস্যরা। বাড়িওয়ালাদের বোঝাতে পারেননি তাঁরাও। সংগঠনের পক্ষে তুলিরেখা সাহা বলেন, ‘‘দত্তপুকুর থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। ২৫ বছর ধরে কেউ কোথাও থাকলে সরকারি নিয়মে তাদের অধিকার জন্মায়। এ ক্ষেত্রে কোন নিয়মে বাড়িওয়ালা তুলে দিলেন?’’

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জোর করে তুলে দেওয়ার কোনও অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি। আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনার উপরে নজর রাখা হচ্ছে।’’ নজর রাখা হচ্ছে বলে দায় এড়িয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারাও।

এইচআইভি সংক্রমণের কথা জানাজানি হওয়ার পরে বামনগাছির এই মধ্য চল্লিশের মহিলাকে বাড়িওয়ালা ঘর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার তাঁর পাড়ায় থাকার শেষ দিন হিসেবে বেঁধে দেন স্থানীয়েরা। এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা কেউই এখনও এঁদের জন্য কোনও আশ্রয় নিশ্চিত করতে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement