লাফঝাঁপ: কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই জল জমল শহরের একাংশে। সেই জমা জলেই হুল্লোড় এক দল কিশোর-যুবকের। শুক্রবার, ই এম বাইপাসে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতেএক লাফে তাপমাত্রা নেমে গেল অনেকটা। স্বস্তি পেলেন শহরবাসী। তার সঙ্গেই গরমের ছুটির শেষে স্কুল খোলা নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্তহওয়া গেল বলে মত প্রধান শিক্ষকদের একাংশের। আগামী ১৫ জুন স্কুল খোলার কথা রয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহের মতো গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া যদি বজায় থাকে, তা হলে স্কুল আদৌ খুলবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছিল পড়ুয়া থেকে শুরুকরে শিক্ষকমহলে। তবে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে শহরে তাপপ্রবাহ না থাকলেও গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে।
সরকারি, সরকার-পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে ২ মে থেকে। ‘পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘‘সামনে আবার পঞ্চায়েত ভোট আছে। ফলে, স্কুল তখনও অন্তত সাত দিন বন্ধ থাকবেই। তাই গরমের ছুটি আরও লম্বা হোক, চাই না। তবে, তাপপ্রবাহ বজায় থাকলে আর একটি সপ্তাহ দেখে স্কুল খোলা যেতে পারে। বর্ষা চলে এলে স্কুল ১৫ জুনই খুলুক।’’
বেসরকারি স্কুলগুলির একাংশ তাদের নির্ধারিত ১২ জুনের বদলে ১৫ জুন খুলছে। পরিস্থিতি তেমন না পাল্টালে তারা আর স্কুল খোলার দিন পিছোবে না। ডিপিএস রুবি পার্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের স্কুল ১২ জুনের জায়গায় ১৫ জুন খুলছেন। ক্লাস টেস্টও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ মৌসুমীসাহা বলেন, ‘‘তীব্র গরমের কথা বিবেচনা করে ১২ জুনের পরিবর্তে১৫ জুন স্কুল খুলবে। অতিরিক্ত তিন দিন যে ছুটি থাকবে, তখন অনলাইন ক্লাস হবে।’’
লা মার্টিনিয়ার স্কুলেরসচিব সুপ্রিয় ধর বললেন, ‘‘গরমের ছুটির পরে ১২ তারিখ স্কুল খোলার কথা থাকলেও স্কুল খুলবে ১৯ জুন। অতিরিক্ত ছুটির দিনে অনলাইন ক্লাস হবে।’’
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বলেন, ‘‘সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলও ১৫ জুন খোলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই খুলছে আমাদের স্কুল।’’