প্রতীকী চিত্র।
কোভিড পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ আটকানোর জন্য টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে নিউ টাউন এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরে। সম্প্রতি ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ বা এনকেডিএ এবং নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই দুই সংস্থা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস নাগাদ মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। বর্তমানে করোনার হানায় এমনিতেই জেরবার মানুষ। এর উপরে ডেঙ্গির সংক্রমণ হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। তাই ডেঙ্গি প্রতিরোধে টাস্ক ফোর্স গঠন করা-সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, ইকো পার্ক, নজরুল তীর্থ-রবীন্দ্র তীর্থের ওপেন থিয়েটার এবং ইকো আর্বান ভিলেজে ‘মসকিটো ম্যাগনেট’ যন্ত্র বসানো হয়েছে। যন্ত্রটি পার্কে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ওই যন্ত্রের সাহায্যে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেই আশা এনকেডিএ-কর্তাদের। পরে নিউ টাউনের অন্যান্য এলাকাতেও এমন যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এর পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে ফাঁকা জমি ও নালা সাফাইয়ের কাজেও। জল যাতে কোথাও জমে না থাকে, তা নজরে রাখা হবে বলে সংস্থা সূত্রের খবর। নিয়মিত ভাবে ঝোপজঙ্গল কাটার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ঘুরে জ্বর সংক্রান্ত তথ্য জানার কাজ করা হবে।
একই ভাবে পাঁচ নম্বর সেক্টরের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে জোর দিচ্ছে নবদিগন্ত। কোভিড পরিস্থিতিতে শিল্পতালুকে এখন অনেক কম সংখ্যক কর্মী আসছেন। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন। সেই কারণে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহুতলগুলির ছাদে জল জমে রয়েছে কি না, তা জানতে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি আগেই শুরু হয়েছে। নবদিগন্ত সূত্রের খবর, আটটি বহুতলকে চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকায় নিয়মিত সাফাই এবং ঝোপজঙ্গল কাটার কাজও চলবে।
এনকেডিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানান, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার প্রচারেও।