আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
রোগীর পরিবারের তরফ থেকে কখনও মোবাইল চুরির অভিযোগ, আবার কখনও কেপমারির অভিযোগ আসছিল। যার ভিত্তিতে কয়েক মাস আগেই পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে রোগীর আত্মীয়দের প্রতারিত হওয়া থেকে এবং দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে রাতে ও দিনে পৃথক দল তৈরি করে টহল শুরু করেছে টালা থানা।
শুধু টহল দেওয়াই নয়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর আত্মীয়েরা যাতে কোনও প্রতারক কিংবা দুষ্কৃতীর ফাঁদে পা না দেন, সে জন্য রাতে সচেতনতামূলক প্রচারও করছে টালা থানার পুলিশ। এক জন অফিসারের নেতৃত্বে চার জনের একটি দল রাতে আর জি কর হাসপাতালের সর্বত্র টহল দিয়ে এই কাজ করছে। আর দিনের বেলায় আর জি কর হাসপাতালের আউটপোস্টের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে টালা থানার পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ওই প্রচার চালাচ্ছে।
লালবাজার জানিয়েছে, রাতেও রোগীর পরিজনদের ভিড় থাকে হাসপাতাল চত্বরে। সেই সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁদের মোবাইল বা অন্যান্য জিনিস চুরি করে পালায়। এ ছাড়া, দ্রুত শয্যা পাইয়ে দেওয়া অথবা বিভিন্ন পরীক্ষা কিংবা অস্ত্রোপচারের তারিখ এগিয়ে নিয়ে আসার আশ্বাস দিয়ে এক শ্রেণির দালাল রোগীর পরিজনদের প্রতারিত করে থাকে। তাই হাসপাতালের দুষ্কৃতী-রাজ নির্মূল করতেই রাতে দল গঠন করে টহলদারি ও সচেতন করার কাজ শুরু করেছে টালা থানা।
পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই হাসপাতাল চত্বরে নিয়মিত টহলদারি চলছে। কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য শুরু হয়েছে সচেতনতার প্রচারও। পুলিশের দাবি, এর ফলে হাসপাতাল চত্বরে দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্যে রাশ টানা গিয়েছে।