নিউ মার্কেট সংস্কারের জন্য ২২ কোটি টাকার প্রয়োজন। ফাইল চিত্র।
কোথাও মাথার উপরে ভেঙে পড়তে পারে চাঙড়। কোথাও আবার অল্প বৃষ্টিতেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। কলকাতা পুরসভার বেশ কিছু বাজারের এমনই বেহাল দশা। পুরসভা পরিচালিত বাজারগুলির হাল কেমন, তা জানতে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আর তাতেই সেখানকার করুণ ছবি সামনে উঠে আসছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববিও বলেছেন, ‘‘এটা ঠিক যে, পুরসভার বেশ কিছু বাজারের অবস্থা ভাল নয়। আমরা সেই সমস্ত বাজারের সমীক্ষা করে দ্রুত সংস্কার করাতে চাই।’’
কলকাতা পুরসভা পরিচালিত মোট বাজারের সংখ্যা ৪৯। মেয়র পারিষদের কথায়, ‘‘১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে রামলাল বাজারের অবস্থা ভাল নয়। ওই বাজারের সংস্কার শুরু করতে পুর কমিশনারকে জানানো হয়েছে।’’ মাসকয়েক আগে পার্ক সার্কাস পুর বাজারের একটি চাঙড় ভেঙে এক ব্যক্তি আহত হন। ওই ঘটনার পরেই পার্ক সার্কাস বাজার পুরোপুরি সংস্কার করতে উদ্যোগী হয় পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমিরুদ্দিন এক প্রস্ত বৈঠক করার পরে সিদ্ধান্ত হয়, ব্যবসায়ীদের পার্ক সার্কাস ময়দানের পাশে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বাজারের সংস্কার করা হবে। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি হননি ব্যবসায়ীরা। ফলে সংস্কারের কাজও শুরু করা যায়নি। পার্ক সার্কাস বাজার নিয়ে ফের বৈঠক হবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর।
একই অবস্থা দক্ষিণ কলকাতার বাঘা যতীন বাজারের। মাসকয়েক আগে বাঘা যতীন বাজার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আমিরুদ্দিন-সহ স্থানীয় বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার। আমিরুদ্দিন জানান, ওই বাজারটির অবস্থাও বেশ সঙ্গিন। বাঘা যতীন বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও একাধিক বার বৈঠক করা হয়েছে। সেখান থেকেও ব্যবসায়ীরা না সরলে সংস্কার করা অসম্ভব। ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য জায়গা ঠিক করা হলেও তাঁরা সরতে রাজি হননি বলে দাবি। এ নিয়ে পুরসভা ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। নিউ মার্কেট সংস্কারের জন্য পুরসভা আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরামর্শ নিয়েছে। সেই পরামর্শ মেনে শীঘ্রই নিউ মার্কেটের সংস্কার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আমিরুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘নিউ মার্কেট সংস্কার করতে ২২ কোটি টাকার প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকা পাওয়া গেলেই নিউ মার্কেটের কাজ শুরু হবে।’’