আন্ত্রিক সচেতনতার প্রচারে সামিল খুদে পড়ুয়ারাও

গত শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার ১০১, ১০২ এবং ১০৫-১১০ ওয়ার্ড থেকে ১৫৪ জন আন্ত্রিকের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

আট দিনে যাদবপুর, বাঘা যতীন এলাকায় ছড়িয়ে পড়া আন্ত্রিকে আতঙ্কিত শহরবাসী। কী থেকে এই অসুখ, তা নিয়ে টানাপড়েন চলছেই।

Advertisement

গত শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার ১০১, ১০২ এবং ১০৫-১১০ ওয়ার্ড থেকে ১৫৪ জন আন্ত্রিকের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এরই মধ্যে এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছোট ছোট পড়ুয়াদের সচেতনতার পাঠ দিতে উদ্যোগী হলেন কর্তৃপক্ষ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রচারের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি এলাকার কলেজ পড়ুয়ারাও আক্রান্তদের পাশে থেকে সচেতনতার প্রচার শুরু করেছেন।

Advertisement

আন্ত্রিকের প্রকোপ সামনে আসতেই পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচটি প্রাথমিক ও তিনটি উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়কে সতর্ক করেছিলেন কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। নারীশিল্প প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেন্দুয়া মহেন্দ্রনাথ গার্লস ও বয়েজ স্কুল, যাদবপুর সম্মিলিত বালিকা বিদ্যালয়গুলি ছিল সেই তালিকায়। এ বার যোগ হয়েছে যাদবপুর বিদ্যাপীঠ ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের রামমোহন মিশন হাইস্কুল। ক্লাস শুরুর আগে প্রার্থনার সময়েই পড়ুয়াদের জল ফুটিয়ে খাওয়া, হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানান, সবাইকে বলা হয়, যেন ভুল করেও বাইরের জল না খায়। বাড়িতেও ফোটানো জল খেতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি, বাড়ির আশপাশেও সচেতনতার প্রচার করতে বলা হচ্ছে।

অন্য দিকে, কে কে দাস কলেজের পড়ুয়ারা বাঘা যতীন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ওআরএস দিচ্ছেন। এক কলেজ পড়ুয়া জানান, সব বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে, যেন কোনও পরিস্থিতিতেই অপরিষ্কার জল ব্যবহার না করেন। জল যাতে ফুটিয়ে ব্যবহার করা হয়, সে নিয়েও প্রচার করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement