ছবি: রয়টার্স।
ঠান্ডা ঘরের চৌহদ্দি ছেড়ে এ বার মাঠে ঘাটে কাজ শিখবেন ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ারা। সদ্য চালু হওয়া ‘উদ্ভাবনী’ বা ‘ইনোভেটিভ’ কোর্সে এই প্রকল্প নিয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (আইআইএসডব্লিউবিএম)। তারা জানিয়েছে, এই কোর্সে গ্রামে গিয়ে কাজ শিখবেন পড়ুয়ারা। কিছু দিন থাকতে হবে সেখানেও।
প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা রাজাগোপাল ধরচক্রবর্তী জানান, সম্প্রতি রাজ্য সরকার ওই প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছে। সেই অর্থে শুরু হচ্ছে উদ্ভাবনী কোর্স। জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কোর্সটি। সেখানেই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও গ্রামে গিয়ে কাজ শেখার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
অধিকর্তা জানান, প্রথম পর্যায়ে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের নিয়ে পৃথক কয়েকটি দল গঠন করে নিজেদের মধ্যে জেলা ভাগ করে নেবেন। এ কাজে সাহায্য করবে পঞ্চায়েত ও কৃষি দফতর। এর পরে ওই জেলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষকদের সঙ্গে থাকবে দলটি। কোন জায়গায় সরাসরি ধান বিক্রি করলে কৃষকরা লাভবান হবেন, চাষের জিনিসের ন্যায্য দাম পেতে সাহায্য করা, কোন সময়ে কোন শস্যের কী রকম চাহিদা থাকে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হবে কৃষকদের। পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তিকে কী ভাবে চাষের কাজে লাগানো যায় সেই পাঠও দেওয়া হবে তাঁদের।
রাজাগোপালবাবুর মতে, ‘‘দেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্বও পড়ুয়াদের জানা উচিত। এবং সমাজের তৃণমূল স্তরে সরকারি সুযোগ সুবিধাও পৌঁছে দেওয়া হবে পড়ুয়াদের মাধ্যমে।’’ তাঁর মতে, কৃষকদের জন্য সরকার যে সব ব্যবস্থা করেছে, তা কী ভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা অনেকেই জানেন না। ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ারা কৃষকদের সেই বিষয়ে সচেতন করবেন।
তবে শুধু কৃষক নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদেরও যে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তা জানান অধিকর্তা। পাশাপাশি বৃষ্টির জল ধরা, চাষের জমি সংরক্ষণ সবই রয়েছে ওই কোর্সে। রাজাগোপালবাবু বলেন, ‘‘ম্যানেজমেন্ট শুধু কর্পোরেট ক্ষেত্রে নয়, সমাজের সম্পদ বাঁচাতেও ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন। সেটাই বাস্তবে করে দেখাতে হবে। কৃষি ও পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’ পাশাপাশি সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ নিয়েও লাগাতার প্রচার চালানো হবে। কোন পড়ুয়ার দল কতটা ভাল ভাবে কৃষকদের পরিচর্যা করতে পারছেন তার উপরে ভিত্তি করে রিপোর্ট তৈরি করবে আইআইএসডব্লিউবিএম।