নিজের বাঁ দিকে দু’জনকে বসিয়েছিলেন অটোচালক। মাঝরাস্তায় চলন্ত অটো থেকে পড়ে যায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অদিতি। পিঠের স্কুলব্যাগ আটকে যায় অটোর সঙ্গে। কিন্তু চালক অটো থামাননি। ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে বেশ খানিকটা চলে যায় ছাত্রীটি। শেষে রাস্তার লোকজন অটোটি থামিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করেন। সেই সুযোগে চম্পট দেন অটো চালক।
বুধবার সকালে ভিআইপি রোডের কৈখালিতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, গোরাবাজারের বাসিন্দা অদিতি সিংহ কোচিং সেরে স্কুলে যাওয়ার জন্য অটোয় ওঠে। তার অভিযোগ, ‘‘অটোর ধারে বসেছিলাম। সামনে ঠাসাঠাসি করে বসতে হচ্ছিল। প্রথমে উঠতে চাইনি। কিন্তু আমাকে ধমক দিয়ে অটোয় তুলে নিয়ে চালক গাড়ি চালু করে আর আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাই।’’
অদিতির বাবা সন্দীপবাবু জানান, গালে আর কপালে গুরুতর চোট লেগেছে মেয়ের। ভয়ে সে কিছুক্ষণের জন্য অচৈতন্য হয়ে যায়। জ্ঞান এলে তাকে উদ্ধারকারীরা স্কুলে পৌঁছে দেন। সেখান থেকে অদিতির বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয়। বুধবার রাতে অদিতির পরিজনেরা লিখিত অভিযোগ করেন। তবে অটোর নম্বর তাঁরা দিতে পারেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিআইপি রোডের উপরে বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত কিংবা উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ওঠার আগে পর্যন্ত অটোচালকেরা নিয়ম ভেঙে সামনে দুই থেকে তিন জন করে যাত্রী বসান। পুলিশ তা দেখেও দেখে না।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিআইপি রোডের তেঘরিয়ায় গাড়ির ধাক্কায় তিন জন গুরুতর জখম হন। পুলিশ জানায়, দু’টি গাড়ি রেষারেষি করছিল। রিকশায় যাচ্ছিলেন এক দম্পতি। গাড়ির ধাক্কায় তাঁরা ছিটকে পড়েন। স্থানীয় একটি হাসপাতালে রিকশাচালক-সহ ওই দু’জনকেও ভর্তি করতে হয়।