ঝড়ের দাপটে গাছ ভেঙে পড়ল খিদিরপুরের কেপি রোডে। — নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টিপাত না হলেও মঙ্গলবার বিকালে ঝোড়ো হাওয়ার ইনিংস চলল সারা কলকাতা জুড়ে! ঝড়ের দাপটে গাছ ভেঙে পড়ল খিদিরপুরের কেপি রোডে। ফলে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রশাসনিক তৎপরতায় সেই গাছ ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। ঝড়ের প্রকোপে পলতায় গাছ ভেঙে শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিকাল পাঁচটা নাগাদ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঝড় সর্বোচ্চ ৭৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে আলিপুরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। দমদমের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে সর্বোচ্চ ৭২ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে।
মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলছে। হাওয়া অফিসের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল মঙ্গলবার বিকালে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে চলেছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি এবং হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়। পাশাপাশি জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস জারি করা হয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে। জারি করা হয়েছিল কমলা সতর্কতাও। পূর্বাভাস মতোই জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত হলেও কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়নি। বিকাল ৫টা নাগাদ কলকাতায় আকাশ কালো করে ঝড় শুরু হয়। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট।
প্রসঙ্গত, অস্বস্তিকর গরমের মাঝেই স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে হাওয়া অফিস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা। একাধিক জেলায় শিলাবৃষ্টির কথাও শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
কলকাতা ছাড়াও শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। তবে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কেবল মঙ্গল এবং বুধবার। বৃহস্পতিবার ঝোড়ো হাওয়া বইলেও তার বেগ কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।