সপরিবার পুরী যাওয়ার জন্য নিজেই গাড়ি চালিয়ে বেরিয়েছিলেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা মনোজকুমার দে। কিন্তু পুরী পৌঁছনোর কিছুটা আগে আচমকাই যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে গাড়িতে আগুন ধরে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মনোজবাবু। গাড়ি-সহ একটি সেতু থেকে নীচে পড়ে যান তিন জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মনোজবাবু (৪৬) এবং তাঁর দশ বছরের ছেলে মৃগাঙ্কর। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মনোজবাবুর স্ত্রী রত্নাদেবী।
কামারহাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়ার স্নাফ মিল স্ট্রিটের একটি আবাসনে বছর সাতেক ধরে রয়েছেন মনোজবাবু। পাশে প্রফুল্লনগর এলাকাতেই তাঁদের আদি বাড়ি। ওড়িশা পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ শতশঙ্খ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সেতুর বাঁ দিকের রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে প্রায় ১২ ফুট নীচে পড়ে যায়। পুলিশ গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ভিতর থেকে তিন জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবা ও ছেলে। পরে মনোজবাবুর স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য
ভুবনেশ্বরে পাঠানো হয়। তবে তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানায়, পুরীতে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন বলেই জানিয়েছেন মনোজবাবুর স্ত্রী। তদন্তকারীদের অনুমান, আগুন লাগতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন মনোজবাবু। এর পরেই সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে গাড়িটি উল্টে নীচে পড়ে।