উত্তরকে বুথমুখী করতে ‘এক ডজন গপ্পো’

গড়ের মাঠে টেনিদার কেরামতি বইয়ের পাতায় বিখ্যাত। কিন্তু ভোটের ময়দানেও কি টেনির ‘ভোকাল টনিক’ কাজে লাগবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০১:১৯
Share:

তৎপরতা: শুরু হয়ে গেল দেওয়াল লিখন। সোমবার, টালিগঞ্জ এলাকায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

গড়ের মাঠে টেনিদার কেরামতি বইয়ের পাতায় বিখ্যাত। কিন্তু ভোটের ময়দানেও কি টেনির ‘ভোকাল টনিক’ কাজে লাগবে?

Advertisement

উত্তর এখনও অজানা। তবে লোকসভা নির্বাচনে উত্তর কলকাতার বাসিন্দাদের বুথমুখী করতে ‘চার মূর্তি’র উপরেই ভরসা রাখছে উত্তর কলকাতা জেলা নির্বাচন দফতর।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬৬.৬৭ শতাংশ। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তা কমে দাঁড়ায় ৬৪.২৭ শতাংশ। সেই কারণে আগামী ১৯ মে উত্তর কলকাতায় ভোটের হার বাড়াতে স্থানীয় আবেগকে ‘অস্ত্র’ করতে চাইছে জেলা নির্বাচন দফতর। সেই লক্ষ্যে ১২টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করতে চলেছে তারা। ১২টি ছবির পোশাকি নাম হবে ‘এক ডজন গপ্পো’। প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য এক মিনিট। সেই তালিকায় এক দিকে যেমন রয়েছে টেনিদার মতো জনপ্রিয় চরিত্র, তেমনই রয়েছে কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া। রয়েছে মধ্য কলকাতার ডেকার্স লেন, শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় বা ভোরের গঙ্গার কথাও। কলকাতার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যে সমস্ত জায়গা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। শুধু তা-ই নয়, থাকছে এ শহরে শোনা যাওয়া ভোরের রেওয়াজ বা রাজাবাজারের ঘোড়ার গাড়িও। হাতে টানা রিকশাকেও একই ভাবে ওই ১২টি ছবির তালিকায় রাখা হয়েছে। কোন বিষয়ে কী ভাবে শুটিং হবে, তা অবশ্য স্থির হয়নি। চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে একটি নাটকের দলকেও কাজে লাগাবে উত্তর কলকাতা জেলা নির্বাচন দফতর। সোমবার এ কথা জানান জেলা নির্বাচন অফিসার দিব্যেন্দু সরকার।

Advertisement

উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ১৮৬২টি। তার মধ্যে এ বার ১৫৩টি বুথ মহিলা ভোটকর্মীরা পরিচালনা করবেন। জেলা নির্বাচন দফতর এ বিষয়টিকেও কাজে লাগিয়ে মহিলা ভোটারদের বুথমুখী করতে চায়। সেই কারণে মহিলা বুথ নিয়ে ছবি তৈরি করবে তারা। তবে ওই সব বুথে নিরাপত্তাকর্মীরাও সবাই মহিলা থাকবেন কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জেলা নির্বাচন দফতর এ বিষয়ে আর্জি জানাচ্ছে বলে খবর। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের নিয়েও একটি আবেদনমূলক ছবি তৈরি হবে। জেলা নির্বাচন অফিসার দিব্যেন্দু সরকার জানান, ভোটের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ভোটার

এবং বয়স্কদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এক-এক মিনিটের ১২টি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার করবে জেলা নির্বাচন দফতর। পাশাপাশি, তাদের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হবে। এ ছাড়া, আরও নানা ভাবে এই ছবিগুলিকে ব্যবহার করবে তারা।

উত্তর কলকাতার একটি বড় অংশ ব্যবসা-প্রধান এলাকা। সেই কারণেই সেখানে ভোটের হার কম থাকে বলে মনে করেন নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকেরা। তাই জোড়াসাঁকো বা শ্যামপুকুরে অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের তুলনায় কম ভোটে পড়ে। তুলনামূলক ভাবে ভোটের হার অনেকটাই ভাল কাশীপুর, বেলগাছিয়া, মানিকতলা ও এন্টালির মতো এলাকায়। আর এ বার ২০১৬ সালের বিধানসভার তুলনায় তো বটেই, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকেও ভোটের হার বাড়াতে চায় উত্তর কলকাতা জেলা নির্বাচন দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement