ফাইল চিত্র।
নলজাতক বা ‘আইভিএফ’ চিকিৎসার মূল কেন্দ্র (হাব) হিসেবে চিহ্নিত করা হল এসএসকেএম হাসপাতালকে। তার সঙ্গে শাখা কেন্দ্র (স্পোক) হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিকে। যার মূল লক্ষ্য, জেলা বা গ্রামের বাসিন্দা নিঃসন্তান দম্পতিদেরও বিনা খরচে বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। এর আগে রাজ্যে বিনা খরচে আইভিএফ পরিষেবা চালুর কথা সরকারের তরফে বলা হলেও পরে সেই প্রকল্প আর এগোয়নি।
সম্প্রতি বন্ধ্যত্বের চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষদস্তিদারের সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পিজিতে ‘আইভিএফ’ চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন করে চলছে সেই ক্লিনিক। প্রায় ২০০ জন মহিলা ইতিমধ্যেই সেখানে পরিষেবা নিতে শুরু করেছেন। বিষয়টিকে এ বার জেলা স্তরেও ছড়িয়ে দিতে অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে সোমবার পিজিতে এক বৈঠক হয়। সেখানে সুদর্শনবাবু-সহ স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল, পিজির অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়,ওই হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান সুভাষ বিশ্বাস ও অন্যেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অন্য মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের বোঝানো হয়, কী ভাবে কৃত্রিম প্রজননের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিষেবা তাঁরা দেবেন। চূড়ান্ত পরিষেবা অবশ্য মিলবে পিজিতেই।
রাজ্যের প্রতিটি কোণে উন্নত চিকিৎসা পৌঁছতে চালু হয়েছে টেলি মেডিসিন পরিষেবা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলা স্তরে ‘আইভিএফ’ চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে কারও কিছু প্রয়োজন হলে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমেই পিজির পরামর্শ মিলবে। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পিজি-সহ অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করবে সুদর্শনবাবুর সংস্থা। তিনি বলেন, ‘‘বিনামূল্যে নলজাতক শিশু-চিকিৎসার পরিষেবা বিশ্বে কোথাও নেই।’’
সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘সন্তানহীন বহু দরিদ্র মহিলা চিকিৎসা করাতে এলেও অনেক সময়ে কিছু করা যেত না। এই প্রকল্প তাঁদের মুখে হাসি ফোটাবে।’’