অনশন মঞ্চে বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
দ্রুত নিয়োগ এবং তাঁদের জন্য নতুন শূন্য পদ তৈরির আশ্বাস দেওয়ায় ধর্না চললেও অনশন তুলে নিয়েছিলেন এসএসসি পাশ শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় পেরোনোর পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় বুধবার থেকে ফের রিলে অনশন শুরু করলেন তাঁরা। সঙ্গে ধর্না তো চলছেই। রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী থাকার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁকে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জখম হন দুই মহিলা বিক্ষোভকারী। তাঁদের এসএসকেএমে নিয়ে গেলে পরে ছেড়ে দেএওয়া হয়।
দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শহিদ মিনারের কাছে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির কাছে ৬৩ দিন ধরে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন এই অনশনকারীরা। এক বিক্ষোভকারী জানান, ৩ মে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ফোনে আশ্বাস দেন, তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা সরকার করছে। মঞ্চে বিকাশ ভবনের দু’জন আধিকারিককে পাঠানোও হয়। ‘এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা’র সভাপতি রাজু দাস বলেন, “৫ মে বিকাশ ভবনে আমাদের প্রতিনিধি যান। সরকার থেকে বলা হয়, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার জন্য যথাক্রমে ৮৫০ এবং ৭৫০টি শূন্য পদ তৈরি করা হল। তখন অনশন তুলি।”
মঞ্চের সম্পাদিকা সাফিয়া খাতুন জানান, ১৯ মে বিকাশ ভবন থেকে একই মেমো নম্বরে শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা, নবম থেকে দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে মোট কত শূন্য পদ তারা তৈরি করছে, সেই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। একই মেমো নম্বরে সবার শূন্য পদ প্রকাশ করাতেই বিক্ষোভকারীদের আপত্তি। সাফিয়ার কথায়, ‘‘শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা নেই। অথচ নবম থেকে দ্বাদশের নিয়োগ নিয়ে মামলা রয়েছে। ফলে ওই নিয়োগ নিয়ে জটিলতা আছে।” সন্ধ্যার বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভকারীরা রাজভবনে গিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, এসএসসি পাশ নবম থেকে দ্বাদশের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা গান্ধী মূর্তির কাছে ধর্না অবস্থান চালাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, ১৯ মে বিকাশ ভবন থেকে নবম-দশমের জন্য ১৯৩২টি এবং একাদশ-দ্বাদশের জন্য মাত্র ২৪৭টি পদ তৈরি করে চাকরি সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অথচ তাঁদের মেধা তালিকায় আছেন পাঁচ হাজার প্রার্থী।
বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করতে এসে সিবিআই ডেটা রুম বন্ধ করে দেওয়ায় এই চাকরিপ্রার্থীদের তথ্য নিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নিয়োগে দেরি হচ্ছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।