প্লাস্টিক নিয়ে তথ্য সংগ্রহের ভাবনা পর্ষদের

এ বার কলকাতা-সহ সারা রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে কত প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে, তার হিসেব রাখতে চাইছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পর্ষদ এ ব্যাপারে একটি সংস্থাকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্ষদ সূত্রের খবর, দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫১
Share:

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, রাজ্যে পুর এলাকাগুলিতে প্রতিদিন মোট কত প্লাস্টিক-বর্জ্য উৎপন্ন হয়, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতীকী চিত্র।

ধাপায় রোজ যে প্লাস্টিকের পাহাড় জমা হয়, তাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ ও দুধের পাউচের সংখ্যাই সর্বাধিক। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সমীক্ষায় এমনটাই ধরা পড়েছিল। শহরে প্লাস্টিক-বর্জ্যের পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য বলতে এতদিন ছিল এটুকুই। এ বার কলকাতা-সহ সারা রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে কত প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে, তার হিসেব রাখতে চাইছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পর্ষদ এ ব্যাপারে একটি সংস্থাকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্ষদ সূত্রের খবর, দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

Advertisement

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, রাজ্যে পুর এলাকাগুলিতে প্রতিদিন মোট কত প্লাস্টিক-বর্জ্য উৎপন্ন হয়, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পর্ষদের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, প্লাস্টিক-বর্জ্যের পরিমাণ ও তার উৎস সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলেই প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা সম্ভব। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই প্লাস্টিকবিরোধী যুদ্ধের রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব। তাই সচেতনতা প্রচারই যথেষ্ট নয়, প্লাস্টিক বন্ধ করতে ধাপে ধাপে এগোনোর কথাই ভাবছে পর্ষদ।

যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে সরকারি প্রচারে মানুষের মনে যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, তা আগে দূর করা প্রয়োজন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ বিভাগের শিক্ষক সমিতকুমার রায় বলেন, ‘‘প্লাস্টিক অনেক কিছুতেই রয়েছে। ফলে প্লাস্টিক বর্জন করুন, কথাটা বিভ্রান্তিকর। নির্দিষ্ট করে বলা উচিত যে, প্লাস্টিকের ব্যাগ বা পাউচের ব্যবহার বন্ধ করুন। সে ক্ষেত্রে বার্তাটি ঠিক ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছবে।’’ আর
এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘প্লাস্টিক মাত্রই তো খারাপ নয়। কিন্তু অনেক সময়ে এমন ভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে, মনে হচ্ছে প্লাস্টিক মাত্রই খারাপ। কিন্তু অনেক ব্যবহার্য সামগ্রীতেই প্লাস্টিক থাকে। ফলে প্লাস্টিকের তৈরি কোন জিনিস বর্জন করতে হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা দরকার।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement