ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত নিয়েই আলোচনা হবে। —ফাইল চিত্র।
১৯২২ সালে ইংল্যান্ডের টিলবরি থেকে যাত্রা করে পি অ্যান্ড ও সংস্থার যাত্রিবাহী জাহাজ ‘এসএস ইজিপ্ট’। ফ্রান্সের মার্সেইলি হয়ে তত্কালীন বম্বে যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। জাহাজে ৪৪জন যাত্রী ও ২৯৪ জন নাবিক ছিলেন। আরও অনেক যাত্রী ওঠার কথা ছিল মার্সেইলি থেকে। কিন্তু তার আগেই ইংলিশ চ্যানেলে ঘন কুয়াশায় একটি ফরাসি জাহাজ সাইন তাকে ধাক্কা মারে। ফলে মাঝ সমুদ্রে ডুবে যায় ‘এসএস ইজিপ্ট’ জাহাজ। তাতে ১২ জন যাত্রী ও ৮৪ জন নাবিকের মৃত্যু হয়।
ওই নাবিকদের বেশিরভাগ ছিলেন লস্কর, অর্থাত্ ভারতীয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের হয়ে লড়তে যাওয়া ভারতীয়দের লস্কর বলা হত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেইসময় ইংল্যান্ডে তুমুল বিক্ষোভ ও হইচই হয়। ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে পরাধীন ভারতের মানুষদের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণও সামনে এসে যায়।
ব্রিটিশ আমলে ভারতের সামাজিক ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছিলেন গেটিঙ্গেন ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক রবি আহুজা। ইতিমধ্যেই তাঁর ‘দ্য পলিটিক্স অব লেবার ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া’ ও অন্যান্য গবেষণাগ্রন্থ নজর কেড়েছে। ‘এসএস ইজিপ্ট’-এর সেই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন ভারতীয় শ্রমিকদের জীবনযাপন নিয়ে ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপের (সিআরজি)জয়ন্ত দাশগুপ্ত স্মারক বক্তৃতা করতে আসছেন তিনি। আগামী ২৯ মার্চ, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় কলকাতার সংস্কৃত কলেজে ওই বক্তৃতাসভার আয়োজন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল, বজ্রপাতে মৃত ২
(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)